সুসংহত রোগ পোকা নিয়ন্ত্রন বা আই.পি.এমের (ইন্ট্রিগেটেড পেস্ট ম্যানেজমেন্ট) মাধ্যমে একটি বিশেষ পরিবেশে সকল প্রকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সমন্বয় ঘটিয়ে ক্ষতিকারক পোকা ও রোগের সংখ্যা বা পরিমাণ ফসলের অর্থনৈতিক ক্ষতিকর পর্যায়ের নীচে রাখা হয়। এই পদ্ধতিতে অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশ দূষণ রোধ করা যায়।
সুসংহত রোগ পোকা নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি -
- রোগ প্রতিরোধি ও উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন।
- উপযুক্ত জমি ও শস্য পর্যায় নির্বাচন, শেষ ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা, আল পরিষ্কার ও গ্রীষ্মকালীন লাঙল দিয়ে মাটি রোদ খাওয়ানো।
- বীজ শোধন।
- শিম্বগোত্রীয় ফসলে বীজের সঙ্গে রাইজোবিয়াম কালচার মেশানো।
- জৈবসার ব্যবহার।
- সঠিক সময়ে এবং সঠিক দূরত্বে বীজ বপন।
- জিঙ্ক ও বোরন যুক্ত সিঙ্গল সুপার ফসফেট প্রয়োগ।
- অম্ল জমিতে অগ্রিম চুন প্রয়োগ।
- একক জায়গায় নির্দিষ্ট সংখক গাছ রাখা।
- নিয়ম মত আগাছা পরিষ্কার, সেচ প্রয়োগ ও জল নিকাশি ব্যবস্থা রাখা।
- পোকা আক্রান্ত পাতা, ফল, ডাঁটা জমিতে ফেলে না রেখে এক জায়গায় জড়ো করে সন্ধ্যার সময় পুড়িয়ে ফেলা।
- পরজীবী বন্ধু পোকা দ্বারা শত্রু পোকা নষ্ট করা।
- যদি ফসলের ১০ সেমি লম্বা ডাটাতে ৪০-৫০ টি জাবপোকা থাকে বা ৩০ শতাংশ গাছ আক্রান্ত হয় তখন রাসায়নিক কীটনাশকের প্রয়োগের দরকার পড়ে।রাসায়নিক কীটনাশক নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা দরকার। আক্রমণের প্রথম ধাপে নিমজাত কীটনাশক ও জীবানু ঘটিত কীটনাশক প্রয়োগ করা যুক্তি যুক্ত।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments