শুধু গোলাপি নয় নীল শহরও রয়েছে ভারতের বুকে। সকলেই জানেন ভারতের পিঙ্ক সিটি বলা রাজস্থানের জয়পুরকে। কিন্তু জানেন কি ব্লু সিটি কোন শহরকে বলা হয়? জানলে অবাক হবেন এই ব্লু সিটিও রয়েছে আমাদের মরুরাজ্যেই। মরুর রাজ্য বলা হয় রাজস্থানকে কিন্তু ইতিহাসেরও রাজ্য এই মরু শহর। এই মরু শহরের কোনায় কোনায় রয়েছে নানা ইতিহাস।
তাঁরই এক জলজীবন্ত উদাহরণ হল রাজস্থানের যোধপুর শহর। মেহরানগড় দুর্গের লাগোয়া শহর হল যোধপুর। ওপর থেকে দেখলে পুরো শহরটাই নীল দেখাবে। তবে কেন এই নীল রং সেই ইতিহাস জানতে গেলে শোনা যায় নানা রকম কাহিনী। এই শহরের আদি বাসিন্দারা নানা রকম মত দিয়েছেন এই নীল শহর গড়ে ওঠার কারণ সম্পর্কে। Image Source- Twitterঅনেকেই বলেন নীল রং অতিরিক্ত গরমের সময় বাড়ির ভেতরের অংশ ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। Image Source- Twitterঅতীতে যোধপুরের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবন উইপোকা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অতএব, এটা বিশ্বাস করা হয় যে নীল রঙ উইপোকা দূরে রাখে। Image Source- Twitter
আবার কারোর মতে আগে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের বাড়ি নীল রঙের করা হত যাতে সহজেই তাঁদের বাড়ি সনাক্ত করা যায়।
অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে ভগবান শিবকে শ্রদ্ধা জানাতে পুরো শহরের রং নীল করা হয়। কারণ বিশ পান করে শিব হয়েছিলেন নীলকণ্ঠি । তাই নীল রং পবিত্র আর সেই হিসেবেই গোটা শহরকে নীল করা হয়।
থর মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত, যোধপুরকে "সূর্যের শহর" বলা হয়, এটি প্রচুর পরিমাণে উজ্জ্বল এবং রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের অভিজ্ঞতার জন্য নামকরণ করা হয়।এটি বিখ্যাত দুর্গ, প্রাসাদ, সমাধি, বাগান, হ্রদ এবং টাওয়ারের আবাসস্থল, যা এটিকে পর্যটন কার্যকলাপের জন্য একটি হটস্পট করে তুলেছে।
প্রিয় পৃষ্ঠপোষক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। মানসম্পন্ন কৃষি সাংবাদিকতা সরবরাহ করা এবং গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং লোকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের আপনার সমর্থন দরকার।
প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।
Share your comments