কেদারনাথ এর শেষটা দেখেই শিউরে উঠেছিল অনেক ভক্তরা। ভেবেছিল না এটা শেষ নয়। হ্যাপি এন্ডিং দেখতে সবাই ভালোবাসে! তবে না সব গল্পের শেষ সুখের হয়না। তবে মনকে স্বান্তনা দিয়েছিল সকলেই এটা তো সিনেমা। এই হাসি মুখটা আবার অন্য সিনেমায় অন্য চরিত্রে ঠিক ফিরে আসবে।
হ্যাঁ ওই হাসি মুখটা আবার ফিরেছিল রূপোলী পর্দায় কিন্তু ভক্তদের ভাগ্যে এই মুখ দেখার সুযোগের সময় সীমা ছিল মাত্র কয়েকটা বছরের। এল সেই অভিশপ্ত দিন। অনেক স্বপ্ন, ইচ্ছা আকাঙ্খা ভরা মানুষটার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল বান্দ্রার ফ্ল্যাটে। মুহুর্তের মধ্যে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ল আত্মহত্যা করলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। কয়েক মিনিটের জন্য হয়ত সেদিন গোটা দেশ থমকে গিয়েছিল। এত প্রাণোচ্ছল, তাজা একটা প্রাণ কিভাবে শেষ হয়ে গেল। কি কারণ? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মাঠে নামল পুলিশ, ইডি, সিবিআই, এনসিবি । উঠে এল উজ্জ্বল বলিউডের মাদক আচ্ছন্ন এক কালো দিক। নাম জুড়ল বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতার। গোটা দেশ বলে উঠল জাস্টিস ফর সুশান্ত। কিন্তু তিন বছর পার জাস্টিস কোথায়?
আরও পড়ুনঃ বিনামূল্যে ইংরেজি শেখার সুযোগ করে দিলেন অরিজিৎ সিং
কোনও এক কারণে একটা ফুল প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে পড়ল। স্বপ্নের ডানা মেলে আকাশে ওড়ার জাস্ট একটু আগেই যেনো কোনও এক অন্ধকার ছেঁটে দিল সেই ডানা। এত কম সময়ে এতটা জনপ্রিয়তা মনে হয় বলিউডের খুব কম অভিনেতায় পেয়েছিল। তার মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে বহু কাটা ছেড়া হয়েছে তার জীবনকে। মাদক নেশায় আচ্ছন্ন, ডিপ্রেশনের শিকার আরও কত কি। কিন্তু যার স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার তার মনেও কি বিষন্নতা আসে? যে সখের বসে এক টুকরো জমি কিনেছিল চাঁদেও সে এইভাবে হার মানলো? যে মানুষটার আত্মিক সম্পর্ক ছিল চাঁদ তারা এদের সঙ্গে সময় পেলেই যে চোখ রাখত টেলিস্কোপ এ তার জীবন কোন ধাক্কা সামলে উঠতে পারল না? এই সব প্রশ্ন আজও ঘুরপাক খায় অনুগামীদের মনে।
আরও পড়ুনঃ চড়া দামে বিক্রি হয় মহুয়ার তেল! আয়ের নব দিশা
সিবিআই তদন্ত আজও চলছে। এখনও কেস বন্ধ করা হয়নি। সেই অভিশপ্ত দিনের ৩ বছর। আজও ভক্তদের মনে জীবিত সুশান্ত। তার হাসি, তার এনার্জি তার কথা তার সাধারণের মধ্যে অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব আজও অনুগামীদের মনে জীবন্ত। মানুষটা না থাকলেও তার শিল্পী স্বত্বা জীবন্ত আছে ভক্তদের মনে। আজ রক্ত মাংসে গড়া জীবন্ত সুশান্ত নেই আমাদের সঙ্গে শুধু রয়ে গেছে কাইপোছে, কেদারনাথ, ছিচরে, বোমকেশ বক্সি, এম এস ধনী দ্যা আন টোল্ড স্টোরি আর দিল বেচারা..... ব্যাস এই ভাবেই একটা গোটা প্রজন্মের কাছে চির অমর থাকবে সুশান্ত সিং রাজপুত।
Share your comments