চাষের কাজে গোমূত্রের উপকারিতা

বর্তমানে চাষের কাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার চলছে। ফলে চাষের কাজে সহায়ক নানান ক্ষুদ্র প্রানীকূল ( insects, bacteria etc.) ধ্বংস হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োগে উৎপন্ন ফসল , ফল-মূল, শাক-সব্জির রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকে। উপরন্তু কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খাদ্যের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানান রোগের সৃষ্টি করছে এহেন পরিস্থিতিতে জৈব চাষ মানুষের স্বাস্হ্যরক্ষা করতে পারে, জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারে। জৈব সার মাটির অম্ল ও ক্ষারের সূচক (পি.এইচ.) নিয়ন্ত্রণে রেখে নানান উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি করে। জৈবসার প্রয়োগে মাটির জলধারন ক্ষমতা ও তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। গাছের প্রধান খাদ্য – নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ (এন.পি.কে)।

KJ Staff
KJ Staff

বর্তমানে চাষের কাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার চলছে। ফলে চাষের কাজে সহায়ক নানান ক্ষুদ্র প্রানীকূল ( insects, bacteria etc.) ধ্বংস হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োগে উৎপন্ন ফসল , ফল-মূল, শাক-সব্জির রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকে। উপরন্তু কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খাদ্যের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানান রোগের সৃষ্টি করছে এহেন পরিস্থিতিতে জৈব চাষ মানুষের স্বাস্হ্যরক্ষা করতে পারে, জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারে। জৈব সার মাটির অম্ল ও ক্ষারের সূচক (পি.এইচ.) নিয়ন্ত্রণে রেখে নানান উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি করে। জৈবসার প্রয়োগে মাটির জলধারন ক্ষমতা ও তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। গাছের প্রধান খাদ্য – নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ (এন.পি.কে)। গৌণ খাদ্য – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার। কৃষিবিজ্ঞানীরা দেখেছেন গরুর গোবরে নাইট্রোজেন ০.৪০%, ফসফেট ০.২০%  ও পটাশ ০.১০% আছে। গরুর মূত্রে নাইট্রোজেন ১.০০% , ফসফেট ০.৫০% ও পটাশ ০.৩৫% রয়েছে। প্রতিটি গরুর গোবর ও গোমূত্র থেকে প্রাপ্ত জৈব সারের আনুমানিক পরিমাণ বছরে নাইট্রোজেন ৪২.৬৫ কেজি, ফসফরাস ১০.২৮ কেজি ও পটাশ ৩৪.৯৩ কেজি। এই জৈব সারের কৃষিতে প্রয়োগে উৎপাদিত ফসলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার ও হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করে।

গোবর ও গোমূত্র দিয়ে নানান জৈব সার তৈরি করা যেতে পারে। গোমূত্র ১ লিটার, কাঁচা গোবর ১ কেজি, মিছরি ১০০ গ্রাম ও জল ১০ লিটার একত্রে মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে ফসলের পাতায় স্প্রে করলে ফসল ভালো হয় ও রোগ থেকে রক্ষা করে। গোমূত্র, কাঁচা গোবর, সর্ষের খোল, চিটে গুড়, নিম খোল, বেসন, ছানাকাটা জল,  ফেলে দেওয়া টক দইয়ের সাথে পরিমাণ মতো জল মিশিয়েও তরল জৈব সার তৈরি করা যায়। এই সার ছেঁকে নিয়ে স্প্রে করলে ফসলে পোকা ও রোগ হয় না।  ‘অমৃতপানী’ জৈব সার তৈরিতেও কাজে লাগে। ।।   

‘অমৃতপানী’ তৈরিতে লাগে ২ লিটার গোমূত্র, ১ কেজি কাঁচা গোবর, ২৫০ গ্রাম চিটেগুড় ও ১০ লিটার জল। চার দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। ১ লিটার ‘অমৃতপানী’-তে ৯ লিটার জল মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

Published On: 26 February 2018, 10:50 PM English Summary: Benefits of Gormutra in the field of farming

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters