বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল দেশই সাশ্রয়ী ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় মনোনিবেশ করেছে। ড্রিপ ইরিগেশন- এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কৃষিকাজে জল অপচয় রোধের সাথে অর্থও সাশ্রয় হয়।
ড্রিপ সেচ কি?
একগুচ্ছ বদ্ধ প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে সুষমভাবে আর নির্দিষ্ট পরিমানে গাছের শিকড়ে সরাসরি সেচ পৌঁছে দেওয়াকে ড্রিপ সেচ বলে।
ড্রিপ সেচের সুবিধা কি?
১) এতে ৩০-৭০% জল ও ৫০% বিদ্যুত্ সাশ্রয় হয়।
২) উঁচু নিচু জমিতেও সেচ সম্ভব।
৩) লবণাক্ত জলও এব্যবস্থায় ব্যবহার করা চলে।
৪) সারের প্রয়োজন ৫০% কমায়।
৫) আগাছার জন্ম রোধ করে।
৬) ভূমিক্ষয় রোধ করে।
৭) ফসলের মাধ্যমিক পরিচর্যা সুবিধার হয়।
৮) দক্ষ সেচ-মজুরের অভাব থাকলেও এই সেচে অসুবিধা নেই।
৯) জৈব কৃষিতে দারুন উপযোগী।
১০) সর্বোপরি ৩০-৭০% ফলন বৃদ্ধি করে।
ড্রিপ সেচের অংশগুলি -
১) ফিল্টার ইউনিট ,
২) ফার্টিলাইজার ট্যাঙ্ক ,
৩) প্লাস্টিক পাইপ (মেন, সাবমেন ও ল্যাটারাল ),
৪) মাইক্রোটিউব ,
৫) ড্রিপার বা এমিটার।
ড্রিপ-সেচ কিভাবে কাজ করে?
পাম্পের সাহায্যে পুকুর, নালা, কুয়ো অথবা গভীর/অগভীর নলকূপ থেকে জল তোলা হয়। এরপর সেই জল ফিল্টারের মধ্যে দিয়ে বালি, মাটি, লবণ ইত্যাদি পরিষ্কার করে মেন লাইন দিয়ে সাবমেন ও শেষে ল্যাটারাল দিয়ে বাহিত হয়। ল্যাটারাল-এর গায়ে গাছের দূরত্ব অনুযায়ী ড্রিপার বা এমিটার বা ফলের ক্ষেত্রে মাইক্রোটিউব দিয়ে ড্রিপার লাগানো থাকে যা দিয়ে ফোঁটা-ফোঁটা করে জল গাছের গোঁড়ায় পড়ে। যে ফসলের যতটা জল দরকার সেই সময় ও পরিমানেই জল একেবারে root-zone এ পৌঁছায়।
Image source - Google
Related link- (Raingun subsidy) রেনগান ব্যবহার করে কৃষকরা ফসলে সেচ প্রদান করুন আর সরকারের থেকে পান ভর্তুকি
Share your comments