দেশের শ্রমজীবি মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার অনেক ধরনের প্রকল্পের রুপায়ন করে। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য হল দরিদ্র শ্রেণীর নিচে বসবাসকারি সাধারন জনগনকে সাহায্য করা।কিছু প্রকল্পের মাধ্য়মে নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরসরি টাকা দেওয়া হয়,কিছু প্রকল্পের মাধ্য়মে তাদের চাকরি দেওয়া হয় এবং কিছু প্রকল্পের মাধ্য়মে জীবন বীমার মত সুবিধা দেওয়া হয়।
বর্তমানে সমগ্র ভারতের অসংগঠিত দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক ই-শ্রম যোজনা ২০২২ চালু করেছে। এর মধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য় ই-শ্রম কার্ড তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে তাদের সাহায্য করা হবে।
কিন্তু অনেকেই এই কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে জানেন না। এমন পরিস্থিতিতে আপনার জানা দরকার যে এই ই-শ্রম কার্ডের মাধ্য়মে আপনি কী কী সুবিধা পেতে পারেন । তাহলে আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…
আপনি কি কি সুবিধা পাবেন
একটি ই-শ্রম কার্ডের মাধ্য়মে আপনি ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জীবন বীমা পাবেন সম্পূর্ন বিনামূল্য়ে।আপনি কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাও পাবেন। ভবিষ্যতে পেনশনের মতো সুবিধা পেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনাঃ কৃষকরা ৬হাজার টাকার পরিবর্তে এই বছর থেকে পাবেন ৮ হাজার টাকা?
এছাড়াও আপনি শ্রম বিভাগের সমস্ত স্কিম যেমন-বিনামূল্যে সাইকেল, শিশুদের পড়াশোনার জন্য় স্কলারশিপ, বিনামূল্যে সেলাই মেশিন এবং আপনার কাজের জন্য বিনামূল্যে সরঞ্জাম ইত্যাদির সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই প্রকল্পগুলি চালাবে।এই প্রকল্পগুলির সুবিধা সরাসরি ই-শ্রম কার্ডের মাধ্য়মে দেওয়া হবে।ভবিষ্যতে শ্রম কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডও যুক্ত করা হবে। যাতে দেশের যে কোনও স্থান থেকে রেশন পাওয়া যায়।
ই-শ্রম কার্ড তৈরি করতে আধার কার্ড, একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাঙ্কের বিবরণ এবং একটি মোবাইল নম্বর প্রয়োজন৷
Share your comments