পেশির টান বিভন্ন বয়সের মানুষের শরীরেই হয়ে থাকে। দৌড়তে গিয়ে বা ভারী কিছু তুলতে গিয়ে অথবা হঠাৎই টান লেগেও অনেক সময় পা, হাত বা পিঠের পেশিতে এই ব্যথা অনুভূত হতে পারে। কিন্তু জানেন কি কেন হয় এই ব্যাথা? বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, পেশির মধ্যে জলের পরিমাণ কমে গেলে, পেশি তার স্থিতিস্থাপকতা (ফ্লেক্সিবিলিটি) হারায়। তাই হঠাৎ সংকোচন প্রসারণের ফলে সেখানে আঘাত লাগে। পেশিতে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের অভাবেও এই সমস্যা হতে পারে। কী ভাবে পেশির ব্যাথার হাত থেকে নিস্তার মিলবে, দেখে নেওয়া যাক।
১. চিকিৎসকদের অনেকের মতে, শরীরে জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকলেও পেশির ব্যাথা হতে পারে। তবে শরীর যদি সঠিক ভাবে হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে টান লাগলেও ব্যাথার পরিমাণ খুব বেশি অনুভূত হয় না বা ব্যাথা দীর্ঘক্ষণ থাকে না। তাই যখনই তেষ্টা পাবে অল্প করে জল খান। এতে আপনার পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়বে।
২. কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য অর্থাৎ ভাত বা পান্তা খেলে শরীরে মেদ আসে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু পেশির জন্য এই জাতীয় খাদ্য খুবই দরকারি। কারণ এই খাবারগুলি পেশিকে দ্রুত পুষ্টি জোগায়।
৩. পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বজায় রাখার জন্য দরকার লবণ। কারণ লবণে থাকে ইলেকট্রোলাইটস। পেশির কোষের মধ্যে জল সঞ্চালনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এই ইলেকট্রোলাইটস। তাই নুন-চিনির জল খেতে পারেন। এতে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট শরীর এই পাণীয় থেকে পেয়ে যায়।
৪. যাঁরা নিয়মিত যোগাসন করেন, তাঁদের পেশির স্থিতিস্থাপকতা অন্যদের তুলনায় বেশি। এতে পেশির গুণগত মান তাতে ভালো হয়। তাই যোগাসন করতে পারেন। এতে পেশির টান বা এর ব্যাথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments