কিউয়ি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদৌ কি উপকারী?

১৯০৬ সাল থেকে কিউয়ি বহির্বিশ্বে পরিচিতি লাভ শুরু করলেও বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করা শুরু হয় ১৯৩৭ সালে। কিউয়ি ফলের উপরে বাদামি, রোমশ আবরণ এবং ভেতরটা উজ্জ্বল সবুজ রঙের খাদ্যযোগ্য অংশ। প্রতিটি ভাইনে অনেক ফল ধরে থাকে। অন্যান্য ফলের চেয়ে একেবারেই অন্য ধরনের স্বাদ এবং এর উচ্চ পুষ্টিমূল্যের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশসমূহে কিউয়ি খুবই জনপ্রিয় একটি ফল।

KJ Staff
KJ Staff
Kiwi Health Benefits
Kiwi Fruit (Image Credit - Google)

বড় বড় কাঁচাবাজার এবং সুপার শপগুলোতে খুঁজলেই অনায়াসে পাওয়া যায় চমত্‍কার স্বাদের এই ফলটি। ফলের ভেতরে ছোট ছোট কালো রঙের বীজ থাকে। বাহ্যিকভাবে কিউয়ি ফল দেখতে অনেকটা নিউজিল্যান্ডের কিউয়ি পাখির মতো বলে এর এই নামকরণ করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ছাড়াও চিলি, তুর্কি, ইরান, জাপান, আমেরিকা,দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ায় কিউয়ি ফল বানিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়।

পুষ্টিমান (Kiwi fruit nutrition) -

ভিটামিন সি ছাড়াও এ ফলে আরও অনেক অন্যান্য উপাদান আসে যা মানবদেহের পুষ্টিসাধন ও রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিউয়ি ফলে ভক্ষণযোগ্য অংশে রয়েছে –

এনার্জি- ৬০ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট- ১৪.২৩ গ্রাম, চিনি- ১০.৯৮ গ্রাম, খাদ্যআঁশ- ২ গ্রাম,  ফ্যাট- ০.৫৬ গ্রাম, প্রোটিন- ১.২৩ গ্রাম,  থায়ামিন- ০.০২৪ মিলিগ্রাম,  রিবোফ্লেভিন- ০.০৪৬ মিলিগ্রাম,  নিয়াসিন- ০.২৮ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড- ০.৫ মিলিগ্রাম,  ভিটামিন বি৬- ০.০৫৭ মিলিগ্রাম,  ফোলেট- ৩৪ আইইউ,  ভিটামিন সি- ১০৫.৪ মিলিগ্রাম,  ভিটামিন ই- ১.৪৫ আইইউ,  ভিটামিন কে- ৫.৫ আইইউ,  ক্যালসিয়াম- ২০ মিলিগ্রাম, আয়রন- ০.২৯ মিলিগ্রাম,  ম্যাগনেসিয়াম- ১৪ মিলিগ্রাম,  ম্যাংগানিজ- ০.০৫৮ মিলিগ্রাম,  ফসফরাস- ২৯ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম- ৩১৬ মিলিগ্রাম,  সোডিয়াম- ৩ মিলিগ্রাম এবং জিংক- ০.১০ মিলিগ্রাম।

কিউয়ি ফলের উপকারিতাঃ

  • কিউয়িতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

  • কিউয়ি ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

  • নিয়মিত কিউয়ি ফল খেলে রক্ত জমাটবাঁধার প্রবণতা কমে এবং রক্তে ফ্যাটের পরিমাণ কমে আসে। ফলে হৃদরোগ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

  • কিউয়ি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

  • কিউয়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

  • কিউয়িতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়ামও হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

  • কিউয়ির ভিটামিন বি, ই ও সি ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

  • কিউয়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, যা রক্তকণিকা তৈরিতে অপরিহার্য। তাই গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় কিউয়ি ফল রাখা ভালো। কেননা এর অন্যান্য খাদ্য উপাদান নিরাপদ গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করে।

  • কিউয়িতে রয়েছে খাদ্যআঁশ যা হজমে সহায়তা করে।

  • শিশুদের শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা প্রতিরোধে কিউয়ি বেশ উপকারী।

  • ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কিউয়ি ফল উপকারী।

আরও পড়ুন - প্রোস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো ঝুঁকি কমাবে রসুন, জানুন এর উপকারিতা

এছাড়া কিউয়িতে বিদ্যমান প্রোটিন ও অন্যান্য উপাদান মাংশপেশি গঠনে সহায়তা করে। কিউয়ির পেস্ট তৈরি করে টক দই মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। কিউয়ির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই চুল পড়া রোধ করে এবং বার্ধক্য বিলম্বিত করে।

আরও পড়ুন - জানুন কোষ্টকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার নিরাময়ে বেল শরবতের উপকারিতা

Published On: 09 April 2021, 09:44 AM English Summary: Is kiwi good for diabetic patient ?

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters