চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ফলিক অ্যাসিড অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। কলায় উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি চুলে আর্দ্রতা প্রদান করে। যার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায় না। কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম চুলকে প্রাকৃতিক ভাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। কলা দিয়ে চুলের পরিচর্যার জন্য অনেকগুলো প্যাক রয়েছে জেনে নিন সেগুলো।
নরম চুলের জন্য :
১) নরম চুল পেতে গেলে একটি পাকা কলার সাথে অ্যাভোক্যাডো নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
২) এবার এই মিশ্রণটিতে নারকেলের দুধ যোগ করুন।
৩) এবার এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪) তারপর হারবাল কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চকচকে চুলের জন্য :
১) চকচকে চুল পেতে গেলে একটি কলার খোসা এবং অলিভ অয়েল এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
২) এই মিশ্রণটি আপনার চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) তারপর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তা দিয়ে চুল ধুয়ে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
স্ট্রং চুলের জন্য :
১) পাকা কলা এবং দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
২) এবার এই মসৃণ পেস্টটি মাথায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৪) এটি সপ্তাহে দুদিন করুন। চুল মজবুত হবে।
৫) যারা শুষ্ক চুলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি। একটি পাকা কলার সাথে 3 চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
৬) এবার এই মিশ্রণটি চুলটা ভেজা অবস্থায় লাগিয়ে নিন।
৭) এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৮) তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য :
১) একটি কলা এবং তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল নিয়ে মিক্সারে ভালো করে পিষে নিন।
২) এবার এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩) কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং সি চুলকে আর্দ্রতা প্রদান করে নরম এবং উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করবে।
তবে এগুলো ব্যবহার করার পর অবশ্যই মনে রাখবেন, চুল ধোয়ার পরে যাতে চুলে কোনরকম কলার টুকরো বা অংশ আটকে না থাকে। এতে চুল চ্যাটচ্যাটে ধরনের হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এগুলি চুলে খুব বেশি শুকোতে দেবেন না। কিছুক্ষণ লাগিয়ে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। না হলে এগুলি চুলে আটকে থাকতে পারে এবং চুল কে রুক্ষ করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন - কমলালেবু ঠিক কতটা স্বাস্থ্যকর আপনার স্বাস্থ্যের জন্য (Health Benefits Of Orange)
Share your comments