কিউই, বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাক্টিনিডিয়া ডেলিসিওসাফল। এটি মূলত চিন দেশের ফল।প্রথমে এটিকে ‘‘চাইনিজ গুজবেরি’’ বলা হত। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতে সাধারণত এই ফলের চাষ হয়।এটির স্বাদ কষা এবং মিষ্টি, যার জন্য মিষ্টি এবং সুস্বাদু পদের জন্য এটি একটি নিখুঁত উপাদান। কিউইর বীজ ফলের স্যালাডে একটি অতিরিক্ত তাজা স্বাদ নিয়ে আসে।
উদ্ভাবন স্থান এবং ভৌগৌলিক বণ্টন: আদিতে চিনের উত্তর-মধ্য এবং পূর্ব অংশে এই ফলটির চাষ হতো। চিনের পর বাণিজ্যিকভাবে এই ফলটির চাষ শুরু হয় নিউজিল্যান্ডে। পরে দ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফলটি ব্রিটিশ এবং মার্কিন সেনাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে বিশ্বের বহু এলাকায় কিউইর চাষ হচ্ছে।
আজ আমরা জানবো, কিউই ফলের উপকারিতা (Benefits of Kiwi fruit) -
কিউই ফলের পুষ্টিগুণঃ
১। কার্বোহাইড্রেট
২। প্রোটিন
৩। ফ্যাট
৪। ফাইবার
৫। ক্যালোরি শক্তি।
কিউই ফলের উপকারিতাঃ
১। কিউইতে ফাইবার থাকার কারণে এটি হজমে সাহায্য করে।
২। হাপানি রোগের জন্য মোক্ষম ওষুধ হল কিউই ফল।
৩। কিউই ফল ঘুমবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
৪। কিডনিতে পাথর জমা থেকে রক্ষা পেতে খান কিউই ফল।
৫। কিউই-তে ভিটামিন-সি ও অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে রোদ, দূষণ এবং বার্ধক্য় বিলম্ব করে।
৬। কিউই ফলে ভিটামিন-এ ও ফাইটোক্য়ামিক্য়াল চোখের ছানি ও অন্যান্য চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৭। কিউইতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে যা শরীরে রক্ত সঞ্চালনাকে ঠিক রাখে এবং হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে।
৮। প্রতিদিন ৩টি করে কিউই ফল খেলে, এর মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাক্টিভ রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৯। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল। কারণ, এটি লো গ্লাইসেমিক হওয়ায় সুগার কন্ট্রোল করে।
পার্শ্বক্রিয়া (Side effects of Kiwi fruit) -
কিউই ফল খাওয়ার সঙ্গে বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রয়ার সম্পর্ক নেই। তবে, কোনও কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে কিউই ব্যবহারের পর অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দেয়।
Share your comments