মুখে ব্রণ হওয়া অতি সাধারণ একটি সমস্যা। প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই কখনও না কখনও এই সমস্যার মধ্যে পরেছে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলতে হবে। কারণ, তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা জমে খুব দ্রুত। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে আমরা বিভিন্ন পণ্য এবং পদ্ধতি ব্যবহার করি, কিন্তু ব্রণ সহজে দূর করা যায় না।
কি কারণে ব্রণ হয়
১. ব্রণ হওয়ার আরেকটি কারণ হল দূষণ এবং ধুলোবালি, যার কারণে মুখে ময়লা জমে। তাই মুখে ব্রণ ও ব্রণ বেরিয়ে আসে।
২. আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু বেশি কফি পান করলেও মুখে ব্রণ হয়।
৩. অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপানের কারণেও ব্রণ হয়।
৪. অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণেও পিম্পল হতে পারে।
৫. এছাড়া হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও ব্রণ হওয়ার একটি বড় কারণ।
ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
ঘুমানোর আগে আপনি আপনার মুখ ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এর সাথে সাথে ভাল করে মুখ ম্যাসেজ করুন । বেশিরভাগ মানুষই ঘুমানোর আগে মুখ ধোয় না । কেউ কেউ মুখ ধুলেও মালিশ করেন না, যদিও মালিশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এতে মুখের ধুলাবালি ও ঘাম দূর হয় এবং রক্ত সঙ্চালন ভালো হয়।
বেশির ভাগ মানুষই রাতে চুল খোলা রেখে ঘুমায়। এতে করে ঘুমানোর সময় মুখে তৈলাক্ত চুল আসে যা ব্রণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বেশিরভাগ মহিলাই প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন না, এর কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। এই কারণেই সবসময় চুল বেঁধে ঘুমানো উচিত। তবে এটাও মাথায় রাখবেন চুল যেন বেশি টাইট না হয় বরং হালকা করে বেঁধে নিন যাতে চুল ভেঙ্গে না যায়।
একই বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার বেশি দিন ব্যবহার করা উচিৎ নয় । কারণ এগুলোর ওপর জমে থাকা ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া ত্বকের নানা ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর সাথে মুখের উপর উপস্থিত তেলও বালিশের কভারে শুষে যায়, যার ফলে ব্রণ হয়।
আরও পড়ুন
ওমিক্রন রুখতে না পারলে ফের বিপদ নেমে আসবে দেশে
Winter skin care routine: জেনে নিন শীতে ত্বকের যত্নের প্রয়োজনীয় তথ্য
Share your comments