অ্যালোভেরা একটি ঔষধি উদ্ভিদ, এর পাতায় জেল থাকে, যা ক্ষত, রোদে পোড়া এবং ত্বকের জ্বালা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ঘৃতকুমারী চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী হিসাবে বিবেচিত হয় এবং হজমশক্তির উন্নতি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। আপনিও যদি চুল ভেঙ্গে যাওয়া এবং পড়ে যাওয়া নিয়ে সমস্যায় ভুগে থাকেন বা আপনার চুল নষ্ট হতে শুরু করে, তাহলে আপনি অ্যালোভেরা ব্যবহার করে আপনার চুলের ভালো যত্ন নিতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল অনেক ঔষধি উপাদানে সমৃদ্ধ, যা চুল সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চলুন কৃষি জাগরণ-এর এই প্রবন্ধে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আমরা সঠিক চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারি?
চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরা চুলের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়, এটি অনেক ধরনের হেডার পণ্যেও ব্যবহার করা হয়। চুলের অনেক সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। এটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার শুষ্ক, প্রাণহীন এবং বিভক্ত প্রান্তের চিকিত্সা করতে পারেন। এছাড়াও অ্যালোভেরা ক্ষতিগ্রস্থ চুলের চিকিৎসায়ও সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ হিট স্ট্রোকে হতে পারে মৃত্যুর কারণ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার!
চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক
যদি চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় বা ধীর হয়ে যায় তবে আপনি আপনার চুলে অ্যালোভেরা লাগাতে পারেন, আপনি কয়েক দিনের মধ্যে পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন। চুলে অ্যালোভেরা লাগানোর জন্য প্রথমে আপনাকে এর তাজা পাতা মাঝখানে ভেঙ্গে বা কেটে ফেলতে হবে। এরপর পাতার ভেতরের অংশ চুলে ধীরে ধীরে ঘষতে হবে। এর জেল আলাদা করে একটি পাত্রে নিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।
ক্ষতিগ্রস্থ চুলের যত্ন
আপনি যদি আপনার ক্ষতিগ্রস্থ চুল নিয়ে বিরক্ত হন তবে আপনার অ্যালোভেরার তৈরি একটি প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্ক তৈরি করা উচিত এবং এটি আপনার চুলে লাগান। এটি আপনার ক্ষতিগ্রস্থ চুলের সঠিক যত্ন নেয় এবং আপনার চুলও লম্বা হতে শুরু করে। এই প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্কটি তৈরি করতে আপনাকে অ্যালোভেরা জেলে মধু, মেথি বীজ, ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। এই হেয়ার মাস্কটি লাগানোর পর প্রায় ১ ঘন্টা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
Share your comments