বাতাসে হিমেল ছোঁয়া পেলেই আমরা বাজার থেকে চোখ, ঠোঁট, মুখ, গলা, হাত-পা— সবের জন্য আলাদা আলাদা ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার কিনে সাজের টেবিল ভরাই। তাতে খরচ তো ভালই হয়। কিন্তু ত্বক যে সব সময়ে দারুণ উজ্জ্বল এবং মসৃণ হয়ে যায়, তা নয়। শীতের ত্বক আর্দ্র করতে বরং ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখতে পারেন অনেক বেশি। তাতে খরচ কম হবে এবং ত্বকও বেশি ভাল থাকবে। ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই শীতে ত্বক উজ্জ্বল রাখা যেতে পারে |
তবে ঘরোয়া টোটকা মানেই যে অনেক সময় ধরে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হবে, তা নয়। হেঁশেলে যদি থাকে একটি মাত্র উপাদান, তা হলেই আপনার ত্বকের নানা সমস্যা দূর হতে পারে। সেই একটি উপাদান হল নারকেল তেল। শীতকালে গায়ে নারকেল তেল মাখার চল অবশ্য বাঙালি ঘরে ঘরে বহু দিন ধরেই চলে আসছে। তবে তা ছাড়াও আরও নানা ভাবে আপনি নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন রূপচর্চার জন্য। সেগুলি কী, জেনে নিন।
১। কয়েক ফোঁটা নারকেল দিয়েই আপনি মেকআপ তুলে ফেলতে পারবেন। আঙুলের ডগায় নিয়ে চোখ, ঠোটঁ, গাল— যেখানে যেখানে গাঢ় মেকআপ করেছেন, সেখানে লাগিয়ে কয়েক সেকেন্ড আলতো ভাবে মাসাজ করুন। কিছু ক্ষণ পরই মেকআপ উঠে আসবে। তার পর একটি ভেজা টিস্যু দিয়ে মুছে নিন। এর পর ত্বক অনুযায়ী কোনও হাল্কা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে, অথচ শীতে আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
২। মুখ ধুয়ে ফেলার পর প্রয়োজন ত্বক ময়েশ্চারাইজ করার। তাই কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল আর কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে প্রথমে দু’হাতের তালুতে ঘষে নিন। তার পর ভাল করে মুখে এবং গলায় মাসাজ করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন -Health benefits of banana: জেনে নিন কলার স্বাস্থ্যগুণ ও উপকারিতা
৩। গ্লিসারিন আর নারকেল তেল মিশিয়ে একটি ফেশিয়াল মিস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। প্রত্যেক বার মুখ ধোয়ার পর এটি স্প্রে করে আলতো ভাবে মাসাজ করে নিতে পারেন। যাঁদের ত্বক খুব শুষ্ক, তারা এই মিস্ট বার বার ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার বা গাল ফাটার মতো সমস্যা কমবে।
৪। শিয়া বাটার এবং নারকেল তেল একসঙ্গে জাল দিয়ে নিন। তার পর একটি পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন। জমে গেলে ঠোঁটে লিপ বামের মতো লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা কমবে। বার বার চামড়া উঠে যাবে না।
৫ | অনেকেই ভাবেন শীতকাল, তাই সানস্ক্রিন লোশান ব্যবহার করার দরকার নেই। কিন্তু ধারণাটা সম্পূণ ভুল। শীতকালে রোদের তাপ খুব বেশি থাকে। বাইরে বেরোলে রোদের তাপ শুষ্ক ত্বকে আরও বেশি প্রভাব ফেলে। তাই বাইরে বেরোলে অবশ্যই অন্তত এসপিএফ ১৫ যুক্ত সানস্ক্রিন লোশান ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। শুধু মুখে নয়, হাত বা শরীরের যে যে অংশ খোলা থাকবে সে সব অংশেও সানস্ক্রিন লোশান লাগিয়ে রাখুন।
৬| রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকে অনেক সময় জ্বালা বা চুলকানির মতো সমস্যা হয়৷ এক্ষেত্রে ঠান্ডা দই বা দুধে নরম কাপড় বা তুলো ভিজিয়ে ত্বকে পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখুন৷ এতে করে ত্বকের জ্বালাভাব দূর হবে৷ এছাড়া, স্নানের আগে কাঁচা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়েও সর্বাঙ্গে লাগাতে পারেন৷ শুকিয়ে গেলে স্নান করে নিন৷
আরও পড়ুন -Tulsi leaves for diabetes: ডায়াবেটিস বশে রাখার সেরা উপায় তুলসী পাতা
Share your comments