ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষকদের উপহার দিয়েছে এক নতুন জাতের মসুর। এই প্রজাতির মসুর খুব কম জলে উচ্চ ফলন দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এবং উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, 'ছত্তিশগড় মসুর -১' নামে পরিচিত এই নতুন জাতটি সহজেই ৮৮-৯৫ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায়। এর গড় ফলন প্রায় ১৪ কুইন্টাল, যা সাধারণ মসুরের চেয়ে বেশী।
ছত্তিশগড় মসুর -১ এর বৈশিষ্ট্য
ছত্তিশগড় মসুর -১ এর ফুল হালকা বেগুনি বর্ণের। এর শস্যগুলির গড় ওজন হয় ৩.৫ গ্রাম, যার কারণে এতে কম সেচ প্রয়োজন হয়।
জেএল -৩ এর চেয়ে বেশী ফলন -
এই জাতটিকে জেএল -৩ এর সাথে তুলনা করে দেখা গেছে, ‘ছত্তিশগড় মসুর -১ জাতটি’ ২৫ শতাংশ বেশী ফলন দেয়। এটিতে ২৪.৬ শতাংশ প্রোটিন সামগ্রী রয়েছে, যা আধা-সেচ পর্যায়ে সবচেয়ে উপযুক্ত।
মৃত্তিকা -
যে কোন মাটিতে (যেখানে সাধারণত মসুরের চাষ হয়) এর চাষ করা যেতে পারে । তবে মাটির পিএইচ মান ৫.৮-৭.৫ হলে তা ভাল ফলনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। মনে রাখতে হবে বেশী ক্ষারীয় এবং অম্লীয় মাটি এর জন্য ভাল নয়।
বপন - বিশেষজ্ঞদের মতে, বীজ বপনের ২০-৩৫ দিন পরে প্রথম সেচ এবং তারপর ৭০-৭৫ দিন পরে দ্বিতীয় সেচ কার্য প্রদান করা উচিৎ। জল যান উদ্ভিদের গোড়ায় না জমে, তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
স্প্রিংকলার সেচ -
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্প্রিংকলার সেচ এই চাষে সর্বোত্তম সহায়ক হতে পারে। এতে জল সাশ্রয়ের পাশাপাশি ব্যয়ও হ্রাস পাবে।
স্বপ্নম সেন ([email protected])
Share your comments