বিতর্কিত অথচ ঐতিহাসিক এক মূহুর্তের সাক্ষী হতে চলেছে দেশ।অযোধ্যায় প্রান প্রতিষ্টা হতে চলেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের।তার ফলে শিঁকে ছিড়তে চলেছে ফুল চাষীদের।রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্তদের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।দেশ জুড়ে পূজো হচ্ছে রামের।আর তাতেই বাড়ছে ফুলের চাহিদা।প্রধানত তিনটি ফুলের চাহিদা এই মূহুর্তে শীর্ষে রয়েছে।চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ও গ্ল্যাডিওলাস এই তিনটি ফুলের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। ফুল চাষিদের কাছে এটি একটি মোক্ষম সূযোগ হতে পারে।আমাদের রাজ্যের ফুল এমনিতেই অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ভাল।এবছর রামমন্দির সাজানোর জন্য দিল্লির ব্যবসায়ীরা এজেন্ট মারফৎ চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ফুল পূর্ব মেদিনীপুর থেকে কিনেছেন বলেই জানা গিয়েছে।
ফুল চাষীদের কাছে এটি একটি সুবর্ন সুযোগ।ভালো পরিমানে ফুল উৎপাদন করতে পারলে শুধু দিল্লি নয়,গোটা দেশেই ফুল সাপ্লাই করতে পারবেন ফুল চাষীরা। এবছর রাম মন্দিরে মূল গেট প্রস্তুত করা হল ফুল দিয়ে।কলকাতা থেকে আনা গাঁদা ফুল ব্যবহার করেই রাম মন্দিরের মূল গেট সাজানো হয়েছে। রবিবার সকালেও কুইন্টাল কুইন্টাল গাঁদা ফুল কলকাতা থেকে এসে পৌঁছায় অযোধ্যায়। তারপর সেই ফুল দিয়েই রবিবার সকাল থেকেই চলে মূল গেট সাজানোর কাজ। গাঁদা ফুল দিয়েই রাম মন্দিরের মূল গেটে সব অতিথিদের স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুনঃ অতি সাধারন ফুল,ফোঁটে সকলের বাড়িতেই,কিন্তু বানিজ্যক সম্ভবনা কতটা দোপাটি ফুলের
সুতরাং,ফুলের চাহিদা যে কিপরিমান বাড়তে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটে প্রায় ২৫-৩০ রকমের ফুলের চাষ হয়। গুণগত মানের কারণে দেশে বিদেশে পাঁশকুড়ার চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ এবং গাঁদার যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। গাঁদার পাশাপাশি রাম মন্দিরে সাজানোর কাজে পাঁশকুড়ার চন্দ্রমল্লিকা ফুল গিয়েছে বহু পরিমাণ। শুধু কয়েক লক্ষ পাঁশকুড়ার মহৎপুর এবং জানাবাড় থেকে চন্দ্রমল্লিকা ফুল গিয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। এছাড়াও পাঁশকুড়ার ফুল চাষীদের কাছ থেকে কয়েক হাজার গ্ল্যাডিওলাস ফুল কিনে রাম মন্দিরের কাজে পাঠিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুনঃ কম বিনিয়োগে বেশি লাভ! কোন ফুল চাষ করবেন? কসমস ফুলের নাম শুনেছেন
ফলে গাঁদা,চন্দ্রমল্লিকা ও গ্ল্যাডিওলাস এই তিনটি ফুলের চাষে ফুল চাষীরা মনযোগ দিলেই হতে পারে লক্ষীলাভ।প্রথাগত পদ্ধতি ছাড়িয়ে কৃষকদের জানতে হবে নতুন পদ্ধতিতে চাষের উপায়।
Share your comments