কল্যাণী – মুগ চাষ করে কৃষক অধিক লাভবান

দেশে কৃষকরা বিভিন্ন ধরণের ডাল বপন করেন, তবে বিশেষত উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা মুগ চাষের দিকে বেশী আকৃষ্ট হয়েছেন। এর চাষ এবং উন্নত ফলন জলবায়ু, তাপমাত্রা, বপন, সেচ-ইত্যাদির পাশাপাশি উন্নত জাতের উপরেও নির্ভর করে। অনেক সময় মুগ শিমের ফসলে হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দেয়, এর প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের পক্ষে মুগের আবাদে উন্নত জাতের বীজ বপন করা জরুরী, তাই কৃষক ‘কল্যাণী’ জাতটি বপন করে মুগ চাষ করতে পারেন।

KJ Staff
KJ Staff

দেশে কৃষকরা বিভিন্ন ধরণের ডাল বপন করেন, তবে বিশেষত উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা মুগ চাষের দিকে বেশী আকৃষ্ট হয়েছেন। এর চাষ এবং উন্নত ফলন জলবায়ু, তাপমাত্রা, বপন, সেচ-ইত্যাদির পাশাপাশি  উন্নত জাতের উপরেও নির্ভর করে। অনেক সময় মুগ শিমের ফসলে হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দেয়, এর  প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের পক্ষে মুগের আবাদে উন্নত জাতের বীজ বপন করা জরুরী, তাই কৃষক ‘কল্যাণী’ জাতটি বপন করে মুগ চাষ করতে পারেন। কৃষক এ জাতটি বপন করে ক্ষতি এড়াতে পারেন। এই প্রজাতির মুগ চাষ করে কৃষক অধিক উত্পাদন এবং উচ্চমানের ফসল পেতে পারেন।

কল্যাণী - এই জাতটি বারাণসীর প্রাকৃতিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র বিকাশ করেছে। সাধারণত মুগ ফসল ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায়। তবে এই জাতটি মাত্র ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়, তাই এটি উন্নত প্রজাতির বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এর বিশেষত্ব হ'ল ফ্লেক্সগুলি দীর্ঘ হবে এবং ফলকগুলি সবুজ হবে। এই জাতের শস্যে অনেক কীট এবং রোগের আক্রমণ হয় না। ফলে কৃষক এই জাতটি বপন করে ফসলে কোনও রোগের ঝুঁকি থাকে না।

অনেক রাজ্যের কৃষকরা এই জাতটি বপন করেন -

উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটক, হরিয়ানা, বাংলা, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব সহ অনেক রাজ্যে কৃষকরা কল্যাণী জাতের মুগ বপন করে মুগ চাষ করছেন। এই জাতের বীজ প্রতি একর জমিতে ৬-৭ কুইন্টাল ফলন দেয়। ফসল সংগ্রহের পরে সবুজ সারও পাওয়া যায়।

কল্যাণী জাতের বপন -

মুগ চাষে এই জাতের বপনের জন্য প্রথমে রাইজোবিয়াম কালচারে বীজ শোধন করতে হবে। এর পরে, ছায়ায় বীজ শুকিয়ে জমিতে বপন করতে হবে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২৫-৩০ কেজি বীজ বপন করতে হবে। এক সারি থেকে অপর সারির দূরত্ব প্রায় ২০-২৫ সেমি. রাখতে হবে। তবে খরিফ মরসুমে হেক্টর প্রতি ১৫-২০ কেজি বীজ বপন করতে হবে। যার মধ্যে সারির দূরত্ব ৩০ সেমি. এবং এক উদ্ভিদ থেকে অপর উদ্ভিদের দূরত্ব ৪ সেমি. হতে হবে।

এই মরসুমে কৃষকরা রবি ফসল কাটার পরে ডালের দিকে ঝুঁকছেন। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন জাতের মুগ বপন করে বেশী লাভবান হতে পারবেন।

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

Published On: 20 April 2020, 05:55 PM English Summary: Farmer can earn more by cultivating moong species –Kalyani

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters