এপ্রিকট খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল | প্রায় আদিকাল থেকেই এর চাষ হয়ে আসছে পৃথিবীতে | এপ্রিকটকে অনেকেই "আর্মেনিয়ান আপেল" বলে থাকে | বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় সব কয়টি দেশে বানিজ্যিক খুবানি বা এপ্রিকট চাষ (Apricots firming) হচ্ছে। এই ফলটি মূলত তাজা খাওয়াসহ রান্না এবং শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায় | এটি গ্রীষ্মকালের একটি সুস্বাদু ফল হিসাবে সবার কাছে পরিচিত।
খুবানি ফলটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ , সি , ফাইবার ও ক্যালোরি থাকে যার বাজার চাহিদা অনেকটাই | এই ফল আমাদের ত্বক ও চোখের সমস্যায় ব্যাপকভাবে কাজ করে | তাই এই ফল চাষের সিদ্ধান্ত আপনাকে লাভবান করতে পারে |
মাটি ও জলবায়ু (Soil and climate) :
এই গাছগুলি শীতল আবহাওয়া এবং নিচু জমিতে ভালো ফলন দিয়ে থাকে। এই গাছগুলি শীতকালীন অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে আর এদের মধ্যে ভূমধ্যসাগরের অঞ্চলগুলি প্রধান | এই ফলের চাষের জন্য হালকা, দো-আঁশ বা বেলে দোআঁশযুক্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে চেরোজেম এবং খনিজযুক্ত মাটি প্রয়োজন | মাটির অম্লতা নিরপেক্ষ বা কিছুটা অম্লীয়। প্রতি 1 মিঃ প্রতি 0.10-0.12 কেজি ফসফরাস সামগ্রীযুক্ত সারগুলি মাটির মাটিতে যুক্ত করা হয়।
চারা রোপণ ও নির্বাচন (Planting and selection of seedlings) :
চারা রোপণের সঠিক সময় হলো মার্চ বা নভেম্বর মাস |৩ বছর বয়সের চারা রোপণ করা প্রয়োজন | এই গাছ লাগানোর ৪-৫ বছরে মধ্যে ফল উৎপাদিত হয় |
সারের প্রয়োগ:
এপ্রিকট চাষ (Apricots cultivation) থেকে ভালো ফলন পেতে বেশ কয়েকবার সার প্রয়োগ করতে হবে শীতের শেষ দিকে সার প্রয়োগ করার সঠিক সময় | খুবানি গাছ থেকে একবার ফল সংগ্রহের পর গাছগুলিকে নতুনভাবে অধিক ফল উৎপাদনের জন্য নাইট্রোজেন প্রয়োগ করা অতি প্রয়োজন | এছাড়াও, গ্রীষ্মের শেষে ভালো মানের ফসফরাস প্রয়োগ করতে হয় |
গাছের সেচের ব্যবস্থা:
গাছটি ছোট অবস্থায় অতিরিক্ত রোদ থেকে রক্ষা করতে গাছের গোড়া কিছু দিয়ে ঠেকে রাখতে হবে | এই গাছটিকে ঋতুভেদে সেচ দিতে হয় | বসন্তকাল , গ্রীষ্মকাল ও শরৎকালে জল দিয়ে গাছটিকে ভিজিয়ে দিতে হবে | তবে, লক্ষ রাখতে হবে গাছের উপরিভাগে যেন জল না জমে |
রোগ ও প্রতিকার ব্যবস্থা:
অনেকসময় এপ্রিকট বা খুবানি গাছে বিভিন্ন পোকামাকড় আক্রমণ করে | বিশেষ করে মাছির আক্রমণে এই গাছের পচন রোগ দেখা দেয় | এর হাত থেকে গাছকে রক্ষা করতে, মাঝে মাঝে রাতের বেলা গাছটিকে ঢেকে দিতে হবে | দিনের বেলা সূর্যের আলো পেতে ও মৌমাছির পরাগায়নের ব্যবস্থা করে দিতে হবে | অনেক সময় কৃত্রিম উপায়ে পরাগায়নের জন্য হালকা কিছু দিয়ে প্রতিটি গাছের ফুলগুলোকে নাড়া দিতে হবে।
আরও পড়ুন - জানুন তুঁতের বৈশিষ্ট্য ও তার চাষের পদ্ধতি
খুবানি ফলের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এই ফলের চাহিদা ক্রমবর্ধমান | এই গাছগুলো লাগানোর ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ফল উৎপাদন করে থাকে | বর্তমানে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হরে বাণিজ্যিক
আরও পড়ুন - জানুন ব্রাসেল স্প্রাউট বা মিনি বাঁধাকপির চাষাবাদের নিয়ম
Share your comments