বাংলার কৃষি, কৃষি পদ্ধতি ও আবহাওয়ার গতিবিধির সাথে চাষাবাদের যোগসূত্র স্থাপনে পরমজ্ঞানী, দূরদর্শী খনার বিজ্ঞানসম্মত ও চিরকালীন বচন

সভ্যতার ক্রমবিবর্তন ও নগরায়নের চাপে আজ চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমহ্রাসমান। কিন্তু ভূভারত সহ সারা বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। আর তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কৃষিবিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় লড়াই হল সকলের জন্য খাদ্য সুরক্ষা (Food secuyrity). আর এর জন্য দরকার প্রতি একর জমির কার্যকরী সদ্ব্যবহার, যা সম্ভবপর হতে পারে বহুস্তরীয় কৃষি ব্যবস্থার (Multitier cropping system) মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে খনার বচন ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক।

KJ Staff
KJ Staff

সভ্যতার ক্রমবিবর্তন ও নগরায়নের চাপে আজ চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমহ্রাসমান। কিন্তু ভূভারত সহ সারা বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। আর তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কৃষিবিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় লড়াই হল সকলের জন্য খাদ্য সুরক্ষা (Food secuyrity). আর এর জন্য দরকার প্রতি একর জমির কার্যকরী সদ্ব্যবহার, যা সম্ভবপর হতে পারে বহুস্তরীয় কৃষি ব্যবস্থার (Multitier cropping system) মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে খনার এই বচনটি ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। ‘আগে রুয়ে কলা/ বাগ-বাগিচা ফলা/ শোনরে বলি চাষার পো/ পরে নারিকেল আগে গুও/ নারিকেল বারো সুপারি আট/ এর ঘন তখনি কাট’। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, কোন জমিতে বহুস্তরীয় কৃষি ব্যবস্থা শুরু করতে হলে প্রথমে কলা দিয়ে শুরু করতে হবে ও ক্রমান্বয়ে অন্য বাগিচা ফসলগুলি লাগাতে হবে। ঐ জমিতে কলার মাঝে বারো হাত অন্তর নারিকেল ও আট হাত অন্তর সুপারি গাছ লাগাতে হবে। এর থেকে কম দূরত্বে রোপণ করা উচিৎ নয়। অর্থাৎ, একই জমিতে নারিকেল, সুপারি, কলা ও অন্যান্য ফসল ফলানোর পদ্ধতি যে কৃষকবন্ধুদের কতখানি প্রয়োজনীয়, এই দার্শনিক নারী খনা বহুপূর্বেই তা উপলব্ধি করেছিলেন।

আবার নারিকেল, আম, কাঁঠাল গাছ পোঁতার সময়েও কিছু নিয়ম-কানুন পালন অবশ্য করণীয়, সেও লিপিবদ্ধ আছে ইতিহাসের পাতায়। খনা বলে গেছেন – ‘গো নারিকেল নেড়ে রো/ আম টুকরা কাঁঠাল ভো’। অর্থাৎ সুপারি ও নারিকেল চারা নেড়ে পুঁতলে গাছ সতেজ ও ফলবতী হয়, অপরদিকে আম ও কাঁঠাল চারা নেড়ে পুঁতলে সেই গাছে ফল হয় না বা হলেও ফল ছোট হয়। আবার গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করে কোন বহুবর্ষজীবী ফল গাছে সার, মাটি দেওয়া (Fertilization) উচিৎ। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উনি বলেছেন – ‘সকল গাছ কাটি কুটি/ কাঁঠাল গাছে দে মাটি’। এতে সার মাটির কোন অপচয় হয় না ও পুরোটাই সেই প্রধান ফসলটির পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়। যে কোন গাছের পরিমিত বাড়-বৃদ্ধি (Vegetative growth) ও ভালো ফলনের (Reproductive growth) জন্য সঠিক ও যথাযথ দূরত্ব (Spacing) বজায় রেখে সেগুলি লাগানো উচিৎ। তার উল্লেখও আমরা পাই খনার বচনে – ‘হাত বিশে করি ফাঁক/ আম ও কাঁঠাল পুঁতে রাখ/ গাছ-গাছালি ঘন সবে না/ গাছ হবে তার ফল হবে না’। অর্থাৎ বিশ হাত দূরত্বের কমে আম বা কাঁঠাল গাছ লাগালে সে গাছে ফলন ভালো হয় না।

এবার আসি নারিকেল চাষ প্রসঙ্গে। নারিকেলের ফলন বৃদ্ধির টোটকা থেকে শুরু করে, নিষ্ফলা নারিকেল গাছকে ফলবতী করে তোলার উপায়ও বাতলেছেন খনা। সেগুলি নিম্নরূপ –

১) ‘নারিকেল গাছে দিলে লুনেমাটি/ শীঘ্র শীঘ্র বাঁধে গুটি/ খনার বচন ফিরৎ নাই/ মাঝে মধ্যে দিও ছাই’ - নারিকেল গাছের গোড়ায় লবণ ও মাঝেসাঝে ছাই প্রয়োগ করলে নারিকেলের ফলন বৃদ্ধি পায়। আজও গ্রামে গঞ্জে নারিকেল গাছের গোড়ায় লবণের প্রয়োগ প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়।

২) ‘গুয়া গোবরে বাঁশে মাটি/ অফলা নারিকেল শিকড়ে কাটি’ – কোন নারকেল গাছ অফলা হয়ে গেলে সেই গাছের কিছু পরিমাণ শিকড় কেটে (Root trimming/pruning) দেওয়া উচিৎ। এতে গাছটি ফলবতী হয়।

৩) ‘খনা ডাকিয়া বলে/ চিটা দিলে নারিকেল মূলে/ গাছ হয় তাজা মোটা/ শীঘ্র শীঘ্র ধরে গোটা’ – খনার পরামর্শ অনুযায়ী, নারিকেল গাছের মূলে তুঁষ ও খড়কুটো (Organic manure) দিলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।

৪) ‘দাতার নারকেল কৃপণের বাঁশ/ কমে না, বারে বারোমাস’ – দান ধ্যান করলে যেমন যে দান ধ্যান করে তার অর্থ আমদানি বন্ধ হয় না, তেমনই মাঝে মাঝে নারিকেল পেড়ে নিলে ক্ষতি হয় না, বরং এতে ফলন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।

বিভিন্ন সবজী ফসল যেমন মূলা, পটল, বেগুন, ওল, কচু, লাউ, কুমড়ো, শসা ইত্যাদি সম্বন্ধিত খনার বচনগুলিও অপরিহার্য। এগুলির মাধ্যমে নানাপ্রকার সবজীর চাষ পদ্ধতির বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া গেছে। উদাহরণস্বরূপ, মূলা চাষের জন্য বীজ বপনের আদর্শ সময় ও মাটি কেমন হওয়া উচিৎ, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন – ‘খনা বলে শুন শুন/ শরতের শেষে মূলা বুন/ মূলার ভুঁই তুলা/ কুশরের ভুঁই ধুলা’। যার অর্থ মূলা বোনার উপযুক্ত সময় শরৎকালের শেষ। মূলা চাষের জমি তুলোর মতো হালকা ও ফুরফুরে হওয়া উচিৎ। এতে করে বিকৃত মূল তৈরী হয় না ও চাষীভাইয়েরা অধিক লাভবান হয়। অপরদিকে আখ বসাবার মাটি ধুলোর মোট হওয়া দরকার। আবার বেগুন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সবজী, যার দেখা কমবেশী সারা বছরই প্রতিটি গৃহস্থের হেঁসেলে মেলে। এটির সমন্ধে খনা বলেছেন – ‘বলে গেছে বরাহের পো/ দশটি মাস বেগুন রো/ চৈত্র-বৈশাখ দিবে বাদ/ এতে নাই কোন বিবাদ/ পোকা ধরলে দিবে ছাই/ এর চেয়ে ভালো উপায় নাই/ মাটি শুকাইলে দিবে জল/ সকল মাস পাবে ফল’ – যার অর্থ চৈত্র-বৈশাখ মাস বাদ দিয়ে বছরের বাকি যে কোন মাসে বেগুন চারা লাগানো যেতে পারে এবং এতে পোকার আক্রমণ হলে ছাই প্রয়োগ করা উচিৎ। সারা বছর ফলন পেতে তিনি নিয়মিত ব্যবধানে জলসেচের নিদান দিয়েছেন। আবার ওল, কচু ও মান এই তিনটি সবজীর চাষ পদ্ধতি যে একইরকম, সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন – ‘ওল, কচু, মান/ তিনটিই সমান’। এই কন্দ জাতীয় ফসলগুলিতে ভালো ফলনের জন্য ছাইয়ের প্রয়োগ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তার উল্লেখও পাওয়া যায় নিম্নোক্ত এই পংক্তি গুলি থেকে, যথা – ‘কচু বনে ছড়ালে ছাই/ খনা বলে তার সংখ্যা নাই’ অথবা ‘মানের গোড়ায় ফেল ছাই/ তাতেই মান বাড়বে ভাই’। ছাই অনেক খাদ্যমৌলের উৎস ও এর প্রয়োগে মাটি ঝুরঝুরে হয়, ফলত বায়ুচলাচল বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। স্বভাবতই এই ফসলগুলির ফলন অনেকগুণ বেড়ে যায়।

এবার আসি কুমড়োগোত্রীয় ফসল সম্পর্কে খনার নিদান প্রসঙ্গে। এর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল পটল। পটল যদিও সারাবছর লাগানো যায়, তবুও ফাল্গুন মাসকেই লাগানোর সঠিক সময় হিসাবে চিহ্নিত করেছেন খনা। এতে ফলনও দ্বিগুণ হয় বলে মনে করা হয়। এ প্রসঙ্গে তাঁর লোকগাথাটি হল, ‘পটল লাগাবে ফাল্গুনে/ ফল বারে দ্বিগুণে’। বর্তমান সময়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের এই বাংলায় মাঘ-ফাল্গুন মাসেই পটল লাগানো হয়। আবার পটল লাগানোর জন্য বেলে মাটি-ই যে সর্বশ্রেষ্ঠ, তা ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেছেন – ‘শুনরে বাপু চাষীর বেটা/ মাটির মধ্যে বেলে যেটা/ তাতে যদি বুনিস পটল/ তাতে তোর আশার সফল’।

আমরা সকলেই জানি, কুমড়োগোত্রীয় ফসলগুলি নদীতীরবর্তী চর জমিতে চাষ করলে খুব ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব (Diara land cultivation)। পূর্বোক্ত পংক্তিখানি যেন এই বিজ্ঞানভিত্তিক সত্যটিরই প্রতিচ্ছবি। গ্রামবাংলায় এখনও ঘরের উঠানে লাউ, শসা ও ঘরের চালে কুমড়ো, চালকুমড়ো ইত্যাদি ফসলগুলি লাগানোর প্রচলন আছে। লতানো প্রকৃতির গাছ হওয়ায় এগুলিকে খুব সহজেই উঠান বা চালে ভালোভাবে বড় করা সম্ভব। এতে অন্যান্য ফসল লাগানোর পর্যাপ্ত জমি পাওয়া যায় ও ঘরোয়া সবজী বাগান (Kitchen garden) তৈরীর ধারণা পাওয়া যায়। খনা এ প্রসঙ্গে বলেছেন – ‘উঠান ভরা লাউ শসা/ খনা বলে লক্ষ্মীর দশা’। তিনি আরো বলেছেন – ‘চাল ভরা কুমড়া পাতা/ লক্ষ্মী বলেন আমি তথা’। আবার আরো একটি বচনে আমরা পাই – ‘লাউ ফলে মাছের জলে/ ধেনো মাটিতে ঝাল ফলে’। অর্থাৎ মাছ ধোওয়া জলের (Liquid manure) প্রয়োগে লাউ ও ধানের জমিতে লঙ্কা লাগালে লঙ্কার ফলন বাড়ে। লঙ্কা লাগানোর সঠিক সময় ও সঠিক সময়ে না লাগালে গাছ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, তার উল্লেখও পাওয়া যায় খনার বচনে – ‘ভাদ্র কি আশ্বিনে না রুয়ে ঝাল/ যে চাষা ঘুমায়ে কাটায়ে কাল/ পরেতে কার্ত্তিক অঘ্রান মাসে/ বুড়ো গাছ ক্ষেতে পুঁতিয়ে আসে/ সে গাছ মরিবে ধরিয়া ওলা/ পুরিতে হবে না ঝালের গোলা’। এর থেকে স্পষ্ট যে, লঙ্কা লাগানোর সঠিক সময় হল ভাদ্র বা আশ্বিন। এর থেকে দেরীতে লাগালে তা রোগগ্রস্থ হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভবনা থাকে।

সেইরকম, বাঁশবনের ধারে কিংবা বাঁশঝাড়ে আলু বা হলুদ লাগালে (Intercropping) সেই গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় ও ফলন ভালো হয় (Synergistic effect) তারও উল্লেখ পাই খনার বচনে, যথা – ‘বাঁশ বনে বুনলে আলু/ আলু গাছ হয় বেড়ালু’ অথবা ‘বাঁশের ধারে হলুদ দিলে/ খনা বলে দ্বিগুণ ফলে’।

কিছু মশলা ও আবাদি ফসল যেমন হলুদ, আদা এবং পানের চাষ সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনাও খনা দিয়ে গেছেন তাঁর পংক্তিগুলির মাধ্যমে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ‘শুনরে ব্যাটা চাষার পো/ বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো/ আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি/ ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি/ হলুদ রোলে অপরকালে/ সব চেষ্টা যায় বিফলে’। এখান থেকে স্পষ্ট যে, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে হলুদ রোপণ করে আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস জুড়ে মাটি ভালো করে নিড়ান দিলে তবেই ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। আদা সম্পর্কে তিনি বলেছেন – ‘চৈতে লাগাইলে আদা/ বৈশাখে লাগাইলে আধা’, অর্থাৎ আদা লাগানোর আদর্শ সময় চৈত্র মাস, মাসখানেক দেরী করে বৈশাখ মাসে লাগানো হলেও ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায়। তাই যে সমস্ত চাষীভাইয়েরা আদা চাষ করবেন, তাদের আদার কন্দ (Rhizome) রোপণের সঠিক সময় (Correct planting) সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিৎ। অপরদিকে পানলতা লাগানোর সঠিক সময় যে শ্রাবণ মাস, তা-ও নথিভুক্ত রয়েছে খনার বচনে। তাই তো উনি বলেছেন – ‘পান চাষ শাওনে/ খেয়ে না ফুরায় রাবণে’।

কোন ফসলে কী ধরণের সার প্রয়োগ করা উচিৎ, এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট ধারণাও তিনি তাঁর বচনের মাধ্যমে লোকমুখে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজে বিশ্বাস করতেন যে, জমিতে সার প্রয়োগ করলে ফলন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, যার প্রমান পাওয়া যায় তাঁর নিম্নোক্ত বচনটি থেকে – ‘শুন শুন চাষাভাই/ সার না দিলে ফলন নাই’। তাই সারের রকমভেদ ও প্রয়োগ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তাঁর পংক্তিতে সুন্দরভাবে পাই। যেমন – লাউগাছে মাছ ধোওয়া জল, কচু ও মানগাছে ছাই, সুপারিতে গোবর, নারিকেলে নোনামাটি ও চিটাধান ইত্যাদির প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে, যেগুলি আগের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে বিশদে আলোচনা করা হয়েছে।

এভাবেই বিবিধ পংক্তি ও ছন্দে গাঁথা হয়ে আছে বাংলার কৃষি ও খনার বচন, ঠিক যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, খনা কর্তৃক প্রদত্ত কিছু কিছু চাষ পদ্ধতি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু মতান্তর থাকলেও বেশীরভাগই সর্বজনবিদিত। কারণ আধুনিক যুগে যে জৈব পদ্ধতিতে চাষবাসের কথা বলা হচ্ছে, তা বহুকাল আগেই মহান প্রবচক খনা বলে গেছেন। বাংলার কৃষি, কৃষি পদ্ধতি ও সর্বোপরি আবহাওয়ার গতিবিধির সাথে চাষবাসের এরূপ যোগসূত্র স্থাপনের প্রক্রিয়া আজ থেকে বহু বছর আগে বিদুষী খনা শুরু করে গেছিলেন, তা ভেবেই অবাক হতে হয়। তাই বাংলার কৃষি সম্বন্ধিত যে কোন তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনাতে খনার নাম বারে বারে ফিরে আসে। সত্যি কথা বলতে কি, উপেক্ষা করাটাও অসম্ভব। সর্বশেষে বলি, যতদিন বাংলার কৃষি থাকবে, পরমজ্ঞানী, দূরদর্শী ও বিদুষী খনার এই বিজ্ঞানসম্মত ও চিরকালীন বচনগুলিও যুগ থেকে যুগান্তরে লোকমুখে ফিরবে।

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

প্রবন্ধ লেখক - শুভ্রজ্যোতি চ্যাটার্জ্জী  

সহ লেখক - দেবমালা মুখার্জ্জী (গবেষক) এবং পার্থ চৌধুরী (সহযোগী অধ্যাপক) 

Published On: 01 April 2020, 08:38 PM English Summary: khonas parole in establishing the linkage of farming with the agriculture, agricultural practices and weather dynamics of Bengal

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters