উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পেঁপে চাষের পদ্ধতি (Papaya cultivation)

(Papaya cultivation) পেঁপের বৈজ্ঞানিক নাম Carica papaya।এর আয়ুর্বেদিক নাম অমৃততুম্বী।এরা Caricaceae পরিবারের সদস্য। একটি ফল যা মানুষ কাচা তথা সবুজ অবস্থায় সব্জি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসাবে খেয়ে থাকে। এর অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে।

KJ Staff
KJ Staff
Papaya cultivation
Papaya Farming (Image Credit - Google)

পেঁপের বৈজ্ঞানিক নাম Carica papaya। এর আয়ুর্বেদিক নাম অমৃততুম্বী। এরা Caricaceae পরিবারের সদস্য। একটি ফল যা মানুষ কাচা তথা সবুজ অবস্থায় সব্জি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসাবে খেয়ে থাকে। এর অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। 

পুষ্টিগুণ (Health Benefits Of Papaya) - 

লেবুর প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপযোগী অংশে ৮৮.৪ গ্রাম জলীয়, ০.৬মিলি গ্রাম খনিজলবণ, ১.৭ গ্রাম আঁশ, ০.৩ গ্রাম আমিষ, ১০ গ্রাম শর্করা, ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৩ মিলিগ্রাম লৌহ,০.০৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২৪৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি ও ৪৭ মিলিগ্রাম খাদ্যশক্তি রয়েছে।

উন্নত জাতঃ

বারি পেঁপে-১, রেড লেডি, বাদশা রবি, খারিফ দুই মৌসুমেই চাষ করা যাবে ।

বপনের সময়ঃ

আশ্বিন (সেপ্টেম্বর- অক্টোবর) এবং পৌষ (ডিসেম্বর- জানুয়ারি)।

পদ্ধতি:

পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ব্যাগে সমান পরিমাণ বালি, মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ ভর্তি করে ব্যাগের তলায় ২-৩টি ছিদ্র করুন। তারপর সদ্য তোলা বীজ হলে রৌদ্রোজ্জ্বল, সহজে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে এরকম উর্বর জমি বীজতলার জন্য বেছে নিতে হবে ।

বীজের পরিমানঃ

জাত ভেদে শতক প্রতি ১.৫–২.৫ গ্রাম ।

সার প্রয়োগঃ

চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে প্রতি গর্তে ১৫ কেজি গোবর সার,টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট ও বোরিক এসিড দিতে হবে। ইউরিয়া ও এমওপি সার চারা রোপনের ১ মাস পর থেকে প্রতি মাসে একবার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া গাছে প্রতি ৫০ গ্রাম ও এমওপি ৫০ গ্রাম। গাছে ফুল এলে এই মাত্রা দ্বিগুণ করতে হবে। ফল তোলার ২ মাস আগে সার দেয়া বন্ধ করতে হবে।

পোকামাকড়ঃ

পেঁপের মিলিবাগ/ছাতরা পোকা দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

পেঁপের সাদা মাছি পোকা দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আগাছাঃ

চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে। প্রতি বর্গমিটারে রবি মৌসুমে ৫০-৬০ টি এবং খরিফ মৌসুমে ৪০-৫০ টি চারা রাখা উত্তম।।

সেচঃ

অতিরিক্ত সেচ গোড়া পচন রোগ এর অনুকূল। বৃষ্টি বা অতিরিক্ত সেচের পানি জমিতে জমতে দিবেন না। এর পর জো এলে কোদাল/নিড়ানি দিয়ে মাটির ওপরের চটা ভেঙে দিন। মাটিতে রস কম থাকলে বপনের ৭-১০ দিনের মধ্যেই একটি সেচ দিন। সাধারণত ২ সপ্তাহ পর পর ২-৩ বার সেচ দিন।

আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ

অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রবি মৌসুমে নিম্ন তাপমাত্রা চারা রক্ষার জন্য বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে ।

ফলনঃ

জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ১৪০-১৫০ কেজি।

আরও পড়ুন - কপি সবজির জন্য জৈব চাষ প্যাকেজ (Organic cultivation)

Published On: 04 February 2021, 06:24 PM English Summary: Papaya cultivation method through improved management

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters