মূলোজাতীয় সবজি হিসাবে বীট (Beetroot) আমাদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। প্রাচীন সময় থেকেই বিটের বিশেষ কদর রয়েছে। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে নিয়ম করে বিট খেতেন। এর নানাবিধ কারণও আছে। ভিটামিন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, সোডিয়াম-সহ নানা পরিপোষক পদার্থে ভরপুর হল বিট।
বীট একটি মূল্যবান খাদ্য পণ্য যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ, ফাইবার, পেকটিন উপাদান রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য দরকারী। স্যালাড হিসেবে কিংবা রান্নায় অথবা কাঁচা সবজির রসও অনেকে খান। বিটরুটও ডায়েটে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তাই বেশিরভাগ উদ্যানপালকরা তাদের সাইটে এটি বাড়ানো পছন্দ করেন। এই উদ্ভিজ্জ ফসল রোপণের জন্য বাগানকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে, বাড়িতে যদি সামান্য জায়গা থাকে কিংবা টবের মধ্যে খুব সহজেই চাষ করতে পারেন এই শীতকালীন সবজি।
উপকারিতা (Benefits) -
ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, উচ্চরক্তচাপ, থাইরয়েডের মতো নানা অসুখ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী সবজি হল বিট। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে গেলে মাত্র একটি। তা হল বিট খেলে প্রসাবের রং লাল হয়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জেনে নিন বিটের গুণাগুণ-
১. রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করে: বিটে রয়েছে অতিমাত্রায় নাইট্রেটস। মুখে থাকা ব্যক্টেরিয়ার সংস্পর্শে এসে এই নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।
২. লিভার ডিটক্সিফাই করে: ফাস্টফুড, স্পাইসিতে অভ্যস্ত জীবনে এমনিতেই লিভারের অবস্থা সঙ্গিন। বিটের জুসে থাকা বেটাইন নামে এক উপাদান কিন্তু লিভার ফাংশান ভালো করে। লিভার থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
৩. ঋতুচক্রের সমস্যা দূর করে: সময়ের আগেই মেনোপজের লক্ষণ দেখা দিলে বা ঋতুচক্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে বিটের জুস খান। বিটে থাকা আয়রণ নতুন লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। যার ফলে ঋতুচক্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বীট লাগানোর সময় (Planting Time) -
বীট বসন্ত বা শরত্কালে রোপণ করা হয়। বসন্তে, কেবলমাত্র পৃথিবী ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১০ সেন্টিমিটার গভীরতায় পৌঁছে গেলে খোলা মাটিতে বীজ রোপণ করা যায়। সাধারণত মে মাসের শুরুতে বিট বাড়ির টবে বা জমিতে রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে বিশেষজ্ঞরা জুনের শুরুতে বিট বপনের পরামর্শ দেন, তাহলে শীতকালীন সবজী রূপে এটি আরও ভালভাবে সংরক্ষণ করা যাবে।
চারা সংগ্রহ:
নার্সারি থেকে চারা কিনে এনে টবে একটি করে চারা লাগাতে হবে।
টবে বীট চাষের পদ্ধতি:
সবার আগে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। কিছুটা কোকো পিট, কিছুটা বাগানের মাটি, একমুঠো নিম খোল এবং কিছুটা জৈব সার, জৈব সারের মধ্যে নিতে পারেন গোবর সার বা সরষের খোল পচা সার দিয়ে ভালো করে মাটি প্রস্তুত করে রাখতে হবে। অন্তত দশ পনেরো দিন এইভাবে একটি ১০ ইঞ্চি টবের মধ্যে মাটিতে জল দিয়ে রাখতে হবে।
বীট লাগানোর সময় (Plantation Time) -
বীট বসন্ত বা শরত্কালে রোপণ করা হয়। বসন্তে, কেবলমাত্র পৃথিবী ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১০ সেন্টিমিটার গভীরতায় পৌঁছে গেলে খোলা মাটিতে বীজ রোপণ করা যায়। সাধারণত মে মাসের শুরুতে বিট বাড়ির টবে বা জমিতে রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে বিশেষজ্ঞরা জুনের শুরুতে বিট বপনের পরামর্শ দেন, তাহলে শীতকালীন সবজী রূপে এটি আরও ভালভাবে সংরক্ষণ করা যাবে।
চারা সংগ্রহ:
নার্সারি থেকে চারা কিনে এনে টবে একটি করে চারা লাগাতে হবে।
টবে বীট চাষের পদ্ধতি:
সবার আগে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। কিছুটা কোকো পিট, কিছুটা বাগানের মাটি, একমুঠো নিম খোল এবং কিছুটা জৈব সার, জৈব সারের মধ্যে নিতে পারেন গোবর সার বা সরষের খোল পচা সার দিয়ে ভালো করে মাটি প্রস্তুত করে রাখতে হবে। অন্তত দশ পনেরো দিন এইভাবে একটি ১০ ইঞ্চি টবের মধ্যে মাটিতে জল দিয়ে রাখতে হবে।
পরিচর্যা:
প্রথম সাতদিন ছায়াতে রাখতে হবে। নিয়মিত দুবেলা জল দিতে হবে। কিছুদিন পর গাছ একটু বড় হলে রোদে রাখতে পারেন। ১০ দিন অন্তর অন্তর খোলপচা জল দিন।
মোটামুটি দুমাস পর গাছ বেশ বড় হয়ে গেলে, বিট তুলে খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। তবে শুধুমাত্র বিট নয়, এর পাতাগুলিকেও আপনি শীতকালীন সবজির সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন।
তবে শুধু টবেই নয়, আপনার বাড়ির সামনের উঠানেও কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে রেখে বিটের চারা পুঁতে দিন। আর একই রকম পদ্ধতিতে চাষ করুন শীতকালীন সবজি বিট।
আরও পড়ুন - জানুন উন্নত জাতের হলুদের বৈশিষ্ট্য ও তার চাষের পদ্ধতি
সংগ্রহ:
পাতাগুলি হলুদ বর্ণ ধারন করলে বিট সংগ্রহ করুন।
আরও পড়ুন - ফসলের ‘৩ জি কাটিং’ পদ্ধতিতে অনেক বেশী লাভবান হবেন কৃষকবন্ধুরা, কীভাবে? জানুন বিস্তারিত
Share your comments