কৃষক এবং পশুপালকদের কাছে একটি ঘাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়া৷ আর তা হল গিনি ঘাস৷ পশুখাদ্যের জন্য সারা বছরই আপনাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়৷ এই খাবারের জোগান দেওয়া সবসময় সহজ হয় না৷ বিশেষ করে সারা বছরের জন্য সবুজ চারার উৎপাদন একটি কঠিন বিষয় হয়ে দেখা দেয়৷ এমতাবস্থায় গিনি ঘাসের চাষ হতে পারে লাভজনক৷ বর্ষায় এই চারা রোপন পশুপালকদের জন্য হিতকর হতে পারে৷ এবং এর চাহিদাও প্রচুর৷
বর্তমান সময়ে ভালো ফসল পেতে কৃষকেরা আধুনিক পদ্ধতির যেমন ব্যবহার করেন তেমনই সাহায্য নেন রাসায়নিক সারেরও৷ তবে এর থেকেও এখন বেশি ঝুঁকছেন সকলে সবুজ ঘাসের সারের দিকে৷ চাষের জমিতে চাষের আগে ৪৫ দিন ধরে এই সবুজ ঘাস বাড়তে দিয়ে তারপর তা ট্রাক্টর চালিয়ে মিশিয়ে দেওয়া হয়৷
পরে এই চাষের ক্ষেত্রে জল ভরা হয়, বা বৃষ্টি জল পড়ে৷ এতে ঘাস পচে ধীরে ধীরে তা মাটির সঙ্গে মিশে যায়৷ এতে কোনও রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি না থাকায় বলা যায় এটি সম্পূর্ণরূপে জৈব সার৷ এভাবেই সহজ উপায়ে সবুজ গ্রাস ব্যবহার করা হয় সার হিসেবে৷ এটি ফসল উৎপাদনেও যেমন ভালো প্রভাব ফেলে তেমনই মাটিকেও আরও উর্বরা করে তোলে৷
সবুজ ঘাস থেকে তৈরি জৈব সার -
চাষবাসের সাফল্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে৷ এর মধ্যে একটি হল সার৷ বীজ বপন বা চারা রোপনের আগে, পরে কী ধরণের সার আপনি প্রয়োগ করছেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে ফলন বা উৎপাদন৷ আর এইসব সারের মধ্যে বর্তমানে চাহিদা বাড়ছে সবুজ ঘাস থেকে তৈরি জৈব সারের (Organic Grass).
গুনে সমৃদ্ধ এই সার শুধু উন্নতমানের ফসল ফলাতেই সাহায্য করে না, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷ অনেকেই ক্ষেতে এই ঘাস চাষ করেন৷ পরে ট্রাক্টরের সাহায্যে সেই জমি কর্ষণ করে তা মাটিতে মিশিয়ে দেন৷ কৃষকদের মতে, বর্ষাকালে এই জমিতেই জল পড়লে এতে ভালো ধান চাষ করা সম্ভবপর হবে৷
আরও পড়ুন - জানুন বিদেশী ফল কিউয়ি এর চাষ কৌশল
গিনি ঘাসে (Gini Grass) বৃদ্ধি পায় পশুদের দুগ্ধ উৎপাদনের ক্ষমতা -
গিনি ঘাসের চাষে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না৷ এটি সহজে বাড়তে থাকে৷ প্রায় সব ধরণের মাটিতেই এর চাষ সম্ভব৷ আর এর পুষ্টিগুনও প্রচুর, যার কারণে পশুদের দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা অনেকগুন বৃদ্ধি পায় এই গিনি ঘাস খেলে৷ ছায়া ঘেরা স্থানেও এর চাষ সম্ভব৷
আরও পড়ুন - সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ‘মৌরী’ চাষের পদ্ধতি