পাঁচটি পত্র বিশিষ্ট, কান্ড কাঁটাযুক্ত, এই উদ্ভিদটির চাষ উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের সমভূমিতে শীতকালে বেশী পরিমাণে করা হয়। এই সময়ে গোলাপ অনেক কৃষকের জমিতেই রোপণ করা রয়েছে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে কৃষকদের উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত, যাতে গোলাপের ভাল ফলন পাওয়া যায়।
গোলাপের আবাদ করেছেন সফল হয়েছেন এমন কৃষকরা তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের কৃষি জাগরণের টিমের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, মার্চ ও এপ্রিল মাসে গোলাপ চাষ করে এমন কৃষকদের বিশেষ কী কী যত্ন নেওয়া উচিত।
আবহাওয়া পরিবর্তন করার সময় সাবধানতা -
আবহাওয়া বদলের সময় অর্থাৎ, যখন আমরা শীত থেকে গ্রীষ্মের মরসুমে প্রবেশ করি, তখন উদ্ভিদের বৃদ্ধির সময়। আর এই উদ্ভিদ বপনের পরে আগাছা জন্মায়। ফসলের বপনের পরে প্রতিদিনের জলের চাহিদা অনুযায়ী সেচ প্রয়োজন। প্রতি ১ থেকে ২ মাস পর পর আগাছা অপসারণ করা প্রয়োজন।
কীটপতঙ্গ এবং রোগ থেকে সুরক্ষা (Plant Care) -
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গোলাপের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কীটপতঙ্গ ও রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তাই এটি রক্ষার জন্য গাছগুলিতে সঠিক কীটনাশক স্প্রে করা প্রয়োজন। এই সময় রস শোষণকারী পোকা এবং মাইটের আক্রমণ হয় গোলাপে, তাই কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত।
কীটপতঙ্গ প্রতিরোধ (Pest Management) -
গোলাপে কীটপতঙ্গ পরিচালনার জন্য খামারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
ক্ষতিগ্রস্থ উদ্ভিদের অংশগুলি ধ্বংস করে ফেলুন।
১০ থেকে ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম ডাইমথোয়েট মিশিয়ে স্প্রে করে দিন।
ফুলের ভালো ফলনের জন্য সবজীর খোলা পচা জল ব্যবহার করলে ভালো হয়।
ফুল ছাঁটাই (Flower Cutting) -
গোলাপ চাষে, ফুল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ফুল ছিঁড়ে সংগ্রহ না করে তীক্ষ্ণ ধারালো যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা উচিত। ফুল কাটার সাথে সাথেই, এটি জলে ভরা পাত্রে রাখুন। এর পরে, তা ঠান্ডা জায়গায় রাখুন। ঠাণ্ডা জায়গার তাপমাত্রা প্রায় ১০ ডিগ্রি হওয়া উচিত। এর পরে, ফুলের গ্রেডিং করা হয়, যা কেবলমাত্র কোল্ড স্টোরেজে সম্পন্ন হয়। একে ফুলের ছাঁটাইও বলা হয়।
আরও পড়ুন - জানুন ঢেঁড়সের পোকা- মাকড় ও রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থাপনা
গোলাপ চাষ থেকে লাভ -
গোলাপ চাষ থেকে লাভ মরসুমের উপর নির্ভর করে। কৃষকদের বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমানে ফুল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এপ্রিল মাসে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় পৌঁছে যাবে। এপ্রিল মাসে বিয়ের মরসুম শুরু হয়। তবে ফেব্রুয়ারিতে ফুলের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এইভাবে, গোলাপের চাষ থেকে কৃষকরা ভাল লাভ করতে পারেন।
আরও পড়ুন - পলি হাউসে জারবেরা ফুল চাষ করে আয় করুন অতিরিক্ত অর্থ
Share your comments