মহিন্দ্রা ও মহিন্দ্রার প্রযোজনায়, কৃষিজাগরণের উদ্দ্যোগে ২ জুন, রবিবার, জলপাইগুড়ি জেলাসদরের রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত হল জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা উৎপাদক সংস্থার ১৩ তম বার্ষিক সাধারণ সভা। এই সভায় উপস্থিত প্রায় ১০০০ জন যোগদানকারীর মধ্যে ৮০০ জন ছিলেন নথীভূক্ত চা-উৎপাদনকারী কৃষক। এই অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ছিলেন ড. টি. কে. বেরা ( টি বোর্ডের সভাপতি) , শ্রী সি মিত্র প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সম্মানীয় অতিথি তাদের বক্তব্য পেশ করেন। মহিন্দ্রা ও মহিন্দ্রার পিক আপ ডিভিশনের তিন প্রকারের গাড়ি প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছিল। অনুষ্ঠানটিকে সফল করে তুলতে কৃষিজাগরণ টিমের সদস্যদের বিশেষ উদ্দ্যোগ প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠান চলাকালিন প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে ক্ষুদ্র চা চাষীদের নানা সমস্যা ও সেই সমস্যাগুলি সমাধানের নানা উপায়। এখানকার বেশীরভাগ ক্ষুদ্র চা চাষী তাদের ৫-৬ বিঘা জমির মাত্র ২-৩ বিঘা জমিতে চা উৎপাদন করে। চা উৎপাদন তাদের মুখ্য উপার্জন নয়, এটি তাদের গৌন উপার্জনের মাধ্যম। এর মূল কারণ বর্তমানে চা-উৎপাদন করে তাদের লাভ আশানুরূপ হচ্ছে না। তারা ১৫ বছর আগে উৎপাদিত চায়ে যে দাম পেতেন বর্তমানেও তারা তাদের উৎপাদিত চায়ের সেই পুরানো দাম পাচ্ছেন, অথচ চা-চাষে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য যেমন জৈব সার, কীটনাশক (জৈব/রাসায়নিক) ইত্যাদির দাম ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এছাড়া রয়েছে জলের সমস্যা। চা চাষে প্রচুর জলের প্রয়োজন, তার সাথে প্রয়োজন নিয়মিত জলের সরবরাহ। বৃ্ষ্টিপাতও প্রয়োজনের তুলনায় এখন কমেছে। অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে জমি নষ্ট হয়ে গিয়ে চা গাছ মারা যাচ্ছে। তবে ইদানিংকালে চাষীদের সহায়তার জন্য নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, থাকছে চা চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সরকারী সহায়তায়।
চা-চাষীদের উৎপাদিত চা বাজারে বা চা উৎপাদনকেন্দ্রে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে মহিন্দ্রা ও মহিন্দ্রার পিক আপ ডিভিশন। রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত ক্ষুদ্র চা উৎপাদক সংস্থার অনুষ্ঠানটিতে মহিন্দ্রা নিয়ে এসেছে মহিন্দ্রার পিক আপ ডিভিশনের সুপ্রো ভ্যান। এই গাড়ি গুলি চা পরিবহন করার জন্য বিশেষ ভাবে কাস্টমাইজ করা যায় সুবিধা মতো। এছাড়াও চা চাষিদের জন্য বিশেষ নতুন প্রকল্প নিয়ে এসেছে মহিন্দ্রা যা চা চাষীদের লাভবান করবে।
প্রতিনিধি কৃষিজাগরণ।
Share your comments