যে সকল কৃষকদের জমি আছে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেডিট ব্যবস্থার মধ্যে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সবাইকে কিষান ক্রেডিট কার্ড দিতে চায়। তাই সরকার এখনকার ৬.৫ কোটি কার্ডের সংখ্যাকে দ্বিগুণ করে ১৪ কোটিতে নিয়ে যেতে চায়। আবেদন পত্র জমা দেওয়ার দু সপ্তাহের মধ্যে যোগ্য কৃষকদের কার্ড দেওয়া হবে। ইন্ডিয়ান ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন গত সপ্তাহে সব ব্যাংককে একটি পরামর্শ প্রদান করেছে যদি কিষান ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য ফসল ঋণের মাত্রা ৩ লাখ টাকা অবধি হয়, তাহলে তারা প্রসেসিং, ডকুমেন্টেশন, পরিদর্শন, লেজার ফোলিও চার্জে ছাড় দিতে পারে । একটি পদক্ষেপ যা কৃষকের কিষান কার্ড আবেদন করার খরচ ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা অবধি সাশ্রয় করবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সহযোগিতার জন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বলেছে। কৃষক সচিব সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, এর দ্বারা কিষান ক্রেডিট কার্ডের সাথে কৃষকদের সংযুক্ত করা যাবে যাতে তারা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নিতে পারে স্বল্প সুদে।" বিভিন্ন পরিষেবা কর পরিত্যাগের সিধান্ত একটি ভালো পদক্ষেপ। এতে আবেদনকারীর ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা সাশ্রয় হবে। এর সাথে জড়িত জটিলতার জন্য অনেক কৃষক আইনজীবীর সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছে। কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন জিনিস কেনার জন্য ঋণ দেওয়া হয়। সুদ মুদ্রাস্ফীতির সাথে জড়িত নয়, তাই ৪% সুদ একজন কৃষকের কাছে অনেক। যদি সরকার শস্যের ঋণের উপর থেকে পুরোপুরি সুদ তুলে নেয় তাহলে সুদ মকুবের আর দরকার পড়বে না।
সুত্র -ইকনমিক টাইম্স
- দেবাশীষ চক্রবর্তী
Share your comments