বীট খেলে মিলবে ক্যান্সার থেকে মুক্তি, তার সাথে সাথে আরও অনেক রোগই থাকবে দূরে। খাদ্যতালিকায় রাখুন রোজ বীট। কিন্তু কি কি উপকার মিলবে ? দেখে নেওয়া যাক বীটের কিছু স্বাস্থ্যগুণ -
রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় -
গবেষণা অনুযায়ী দেখা গেছে, প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম বিট খেলে ৬ ঘন্টার মধ্যে রক্তচাপ কমে যায় ।
কোলেস্টেরল কমানো -
বীটে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং বিটা সায়ানিন। তাই বীট-এর রং লালচে-বেগুনি হয়। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে ।
শরীরের ক্যালসিয়াম বজায় রাখে -
আপনার দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। দিনে দু’বার বীটের জুস পান করলে অস্টিওপোরোসিস এবং হাড় ও দাঁতের অন্যান্য সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে-
বীট রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে না, কারণ এটি একটি নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা এটি খেতে পারেন। এতে ক্যালোরি বেশি থাকে এবং ফ্যাট ফ্রি হয়। ডায়াবেটিক রোগীর জন্য এটি একটি ভালো ওষুধ ।
অ্যানিমিয়া হ্রাস করে -
বীট-এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে, হিমোগ্লোবিন রক্তের একটি অংশ। বীট-এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ক্লান্তি নাশ করে-
বীটে-এর নাইট্রেট উপাদান শরীরে অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে এনার্জি বৃদ্ধি পায়। এটি শক্তি বৃদ্ধি করে ।
উপকারী ক্যানসারের ক্ষেত্রেও -
একটি সূত্র থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, স্তন বা প্রস্টেট ক্যানসার আছে এমন মানুষ যদি বিট খান, তাদের টিউমার বৃদ্ধির হার ১২.৫ শতাংশ কমে যায়।
পাকস্থলীর সমস্যা কমায় -
বীটে ফাইবার থাকে, তাই এটি একটি আকর্ষণীয় ভেষজ রূপে কাজ করে। এতে নাইট্রেট উপাদান থাকে, যার ফলে পাকস্থলীর টক্সিন নির্গত হয়, ফলে পাকস্থলীর সমস্যা কমে যায়।
তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন পান করুন বীটের জুস, বা খাদ্য তালিকায় রাখুন বীট।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments