কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং এগ্রিকালচার ইন্সুরেন্স কোম্পানী অব ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর মিলিত উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী ফসলবীমা ও বাংলা ফসল বীমা যোজনা ২০১৮ বাস্তবায়িত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি জেলা – পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিন ২৪ পরগণা, মালদা, কালিম্পং এবং দার্জিলিং জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
যোজনাটির বিশেষত্ব হল - অনভিপ্রেত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অধিসূচিত ফসলের ক্ষতির বিরুদ্ধে কৃষককে অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান ও আগুন, বিদ্যুৎ, ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, টর্নেডো, বন্যা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ধস, খরা, খারাপ আবহাওয়া, ফসলের রোগ এবং পোকামাকড়ের দ্বারা ফসলহানির জন্যে মরসুমে শেষে সুরক্ষা প্রদান। স্থানীয় বিপর্যয়ের কারণে শস্যহানি হলে, ব্যক্তিগত স্তরে ক্ষতিপূরণের সুবিধা, রোপণ/বপনজনিত বিফলতায় তাৎক্ষনিক ক্ষতিপূরণের সুবিধা। ফসল বপন থেকে শুরু করে ফসল কাটার পরবর্তী সময় পর্যন্ত বীমা সুরক্ষা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই যোজনায় বীমা করাতে পারেন।
সমস্ত ধরণের কৃষক, নিজস্ব জমির অধিকারী, ভাগচাষী, প্রজাস্বত্বভোগী চাষী যারা এই যোজনার অন্তর্গত রাজ্য সরকার দ্বারা অধিসূচিত অঞ্চলে অধিসূচিত ফসল চাষ করছেন বা করাবেন, তারাই এই বীমার আওতায় আসতে পারেন। যে কৃষকেরা ৩১শে জুলাই ২০১৮-এর মধ্যে অধিসূচিত ফসল চাষের জন্যে ব্যাঙ্ক থেকে মরসুমি কৃষি ঋণ নিয়েছেন বা যাদের ঋণ মঞ্জুর হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফসল বীমা বাধ্যমূলকভাবে প্রযোজ্য। খরিফ ২০১৮ মরসুমে ঋণী, অঋণী কৃষক নির্বিশেষে সকলের জন্য বীমা করার অন্তিম তারিখ হল ৩১শে জুলাই ২০১৮ (আমন ধান ও ভুট্টার জন্যে) এবং ৩০শে জুন ২০১৮ (আউস ধান ও পাটের জন্যে)।
- তন্ময় কর্মকার
Share your comments