আমেরিকার লুইজিয়ানা প্রদেশের এক কিশোরী অ্যালিসা কার্সন, ছোটবেলা থেকেই দু’চোখ জুড়ে মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্ন বুনতো । ছোটবেলার স্বপ্নকে বড় হয়ে হারিয়ে ফেলেনি অ্যালিসা। নাসার অধীনে মঙ্গল অভিযানের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সে। এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলা মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠানো হয়নি। সেদিক থেকে মঙ্গলে প্রথম অভিযানেই কোনও মহিলাকে পাঠানো হলে তা ইতিহাস সৃষ্টি করবে । ১৯৬৩ সালের ১৬ জুন প্রথম মহিলা নভশ্চর হিসেবে মহাকাশে যান সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের মোট ৫৯ জন মহিলা মহাকাশে গিয়েছেন।
২০৩৩ সালে মঙ্গল গ্রহে প্রথমবার মানুষ পাঠাতে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সেই অভিযানে একজন মহাকাশচারী হিসেবে জায়গা পেতে চলেছে অ্যালিসা। তখন তার বয়স হবে ৩২। চেষ্টা করা হচ্ছে আগামী দু’বছরের মধ্যেই তাকে মহাকাশে পাঠানোর। যাতে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে মহাশূন্যে যাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে সে।
এই কম বয়সে অনেক কৃতিত্বই রয়েছে অ্যালিসার ঝুলিতে। ২০০৮ সালে বাবা ব্রেথ কার্সনের মাধ্যমে নাসায় যোগ দেয় সে। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে আমেরিকার অ্যাডভান্সড স্পেস অ্যাকাডেমির ডিগ্রি অর্জন করা হয়ে গিয়েছে অ্যালিসার। নাসার তিনটি স্পেস ক্যাম্পে অংশ নেওয়া একমাত্র ব্যক্তি ১৭ বছরের এই কিশোরী। এছাড়া নাসার সব ভিজিটার সেন্টার পরিদর্শন করা বা পাসপোর্ট প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ করা বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তিও অ্যালিসাই। এই বয়সের আর পাঁচটা ছেলে-মেয়ে যখন স্কুলের পড়াই শেষ করে উঠতে পারে না, তখন ১৭ বছরের এই কিশোরী কিন্তু তাল মিলিয়ে নিয়মিত স্কুলের পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ইংরেজি, চীনা, ফরাসি এবং স্প্যানিস — এই চারটি ভাষায় স্কুলের সব বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনা করছে সে। পড়াশোনা ও নাসার প্রশিক্ষণের ফাঁকে আম-পড়ুয়াদের উত্সাহমূলক বক্তৃতা দিতেও বহু জায়গায় আমন্ত্রণ পেয়েছে অ্যালিসা। ‘নিজের স্বপ্নকে চোখের আড়াল করবে না। স্বপ্নের পিছনে নিত্য ধাওয়া করো এবং কখনওই কাউকে তোমার স্বপ্ন ছিনিয়ে নিতে দিও না’, বলেছে মার্কিন এই ‘বিস্ময় বালিকা’।
রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments