বৃহস্পতিবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পপতিদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের বক্তব্য ছিল দেশনেত্রীর মতো। তিনি বাংলার পাশাপাপশি বাকি সব রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন যেন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিশ্ববাংলায় বিশ্বজয়। তিনি বক্তৃতায় গত সাত বছরে বাংলার পরিবর্তন তুলে ধরে বলেলন, বাংলায় বাংলায় বিনিয়োগ করে সফল হতে যা যা দরকর সব আছে। এখানে প্রচুর জমির আছে, মেধাবী শ্রমিক আছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। তাই বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১ টায় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে আসেন মমতা। সেই সময় মঞ্চে সজ্জন জিন্দাল, রাজেন ভারতী মিত্তাল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো দেশের শিল্পপতিরা যেমন ছিলেন, তেমন ছিলেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা। বিশ্বমানের আতিথেয়তায় এদিন শুরু হল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট।
প্রথম দিনেই প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেল রাজ্য সরকার। লগ্নির আশ্বাসের তালিকায় উঠে এল রিলায়েন্স, আইটিসি, কোকোকোলা বা জিন্দালদের জেএসডব্লু’র মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নাম। নিখুঁত আয়োজনে আর উদ্দীপনায় যেমন চমৎকৃত হলেন ৩৬টি দেশ থেকে আসা অতিথিরা, তেমনই অনুষ্ঠানে ১২টি পার্টনার কান্ট্রিকে সামনে রেখে লগ্নির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তরিকতায় ভরা সরল ভাষায় বোঝালেন, লাল কার্পেট বিছিয়ে শিল্পের দুয়ার খুলে রেখেছেন তিনি। মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দাল, রাজেন ভারতী মিত্তাল থেকে শুরু করে দিকপাল শিল্পপতিরা মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি’ সম্বোধন করে বোঝালেন, বিনিয়োগের জন্য তাঁরা এখন ভরসা করেন দেশের পূর্ব প্রান্তের এই রাজ্যকেই।
শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি জানালেন, তিনি আশাবাদী, ২০৪৭ সালে যখন এদেশে স্বাধীনতার একশো বছর পূর্তি হবে, তখন চীনকে হারিয়ে ভারতের মাথায় উঠবে সেরা অর্থনীতির মুকুট। যেভাবে বাংলার অর্থনৈতিক বহর বাড়ছে, যেভাবে আয় বাড়াচ্ছে সরকার, কৃষকের রোজগার বৃদ্ধি, ছোট শিল্পের এগিয়ে যাওয়া বা বড় শিল্পের বৃদ্ধি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তা ভারতকে সেই সাফল্য পেতে দিশা দেবে।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments