বাগজান প্রগতিশীল ফামস ক্লাব 2011 সালে 5 মে মাসে স্থাপিত হয় ,পাড়ার কিছু কৃষক ও ছেলে নিয়ে। আয়োজক হিসাবে আমি ও তখন আমাদের kPS ছিলেন দিলীপ সাহা উনি ময়নাগুড়ি grampchayet এর অধীনে ছিলেন এবং ARDB ব্যাংক এর অবসর প্রাপ্ত ম্যানেজার বাধন বাবু। আমি স্কুল জীবন থেকেই গঠন মূলকএবং সঙ্ঘ বদ্ধ বিভিন্ন কাজ করতে ভালো বাসতাম তাই অনেক ক্লাব করেছি পাড়ার ছেলেদের নিয়ে। কিন্তু সেই সব ক্লাব শুধু বিভিন্ন অনুষ্ঠান এর মধ্য দিয়ে চলত। তারপর আমি কৃষক সঙ্ঘ ভাবনা টা ভাবি আর হয়ে যায় ।আমরা খগেন হাত অয়েল ফেয়ারের মধ্যে নাবার্ড এর সঙ্গে যুক্ত হই।তখন DDM সাহেব ছিলেন NC ভাওয়াল। সেই রূপ বিভিন্ন কাজকর্মের মধ্য দিয়েই চলছিল আমাদের ক্লাব ।এর পর 2015 সালে নাবার্ড আমাদের FPO তে পরিণত করেন। জলপাইগুড়ি kvk ও ময়নাগুড়ি ADA, এবং পশ্চিম বঙ্গ কর্ষিবিভাগ আমাদের একটা বহুমুখী তেল নিষ্কাশন মেশিন প্রদান করেন ।এখন আমরা চাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষন এর মাধ্যমে আলু ও ধান এর বীজ করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এতে চাষিভিদের উপকৃত হবে। এখন আমরা নাবার্ড জলপাজগুড়ি KVK, ব্লক কৃষি দপ্তর এর সহযোগিতায় মেশিনে ধান রোপনের জন্য ধানের চারা সহজে যাতে কৃষক রা পায় সেই জন্য ধানের চারা তৌরি করা হচ্ছে। এই পদ্ধতির মধ্যে পরিবতন আসবে চাষী ভাইদের। এ ছাড়াও ভুট্টা, সরিষা, বিনা চাষে জিরটিলাস পদ্ধতিতে চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পেরেছি।
আমাদের ক্লাব এ এখন খাঁটি 100/ সরিষার তেল, হলুদ, কালনউনিয়া চাল, তুলায়ই পাঞ্জি চাল ,কালো চাল ,এবং মৎস চাষে বড় একটা টিম কাজ করে চলেছে। বাজারে এগুলো প্রগতি ব্র্যান্ড নামে এখন বিক্রি করা হচ্ছে ।।একদম অর্গানিক পদ্ধতিতে। চাষী ভাইদের কাজ থেকে সংগ্ৰহ করে এই প্রগতি ব্র্যান্ড তৌরিকরে বাজার জাত করেন করা হয় ।।এতে চাষী রাও ভালো একটা পয়সা পায় ।এখানে কোন মিডিল ম্যান নেই সরাসরি মাঠ থেকে চাষীদের কাজ থেকে নেওয়া হয় ।ধীরে ধীরে আমাদের স্বপ্ন সকল চাষী ভাইদের একই ছাতার তলায় নিয়ে এসে কাজ করা। এবং সমাজের যুব সমাজ কে সুষ্ঠ ভাবে সাবলম্বী হয়ে ওঠা। এটাই থাকবে আমাদের অঙ্গীকার।
----দিনাবন্ধু রায়। সম্পাদক। বাগজান প্রাগতি শীল ফারমেরস ক্লাব । ময়নাগুড়ি,জলপাইগুড়ি।
- অমরজ্যোতি রায় (amarjyoti@krishijagran.com)
Share your comments