
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শ্রী রাধানাথ সিং গত ১৪ই নভেম্বর ১০০০ কোটি টাকার একটি স্টার্ট-আপ (প্রারম্ভিক) প্রকল্প চালু করেন যাতে যুব প্রজন্ম সমবায় কৃষি ভিত্তিক ব্যবসায় আরো বেশি করে নিজেদেরকে নিযুক্ত করতে আগ্রহী হয়। শিল্পপতি বা উদ্যোগপতিদের প্রদত্ত ভর্তুকি ছাড়াও এই নতুন আর্থিক নীতিতে প্রতি বৎসর যুবা কৃষকরা ২ শতাংশ হারে সরকারী ভর্তুকি পেতে সমর্থ হবে।
ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NCDC) একটি “যুব সহকার কো-অপারেটিভ এন্টারপ্রাইজ” নীতি গ্রহণ করেছে। এই নীতির সাথে কৃষি-মন্ত্রকের ১০০০ কোটি টাকার “কো-অপারেটিভ স্টার্ট আপ এন্ড ইনোভেশন ফান্ড (CSIF)” নীতিকে NCDCএর পক্ষ থেকে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে এই নীতি দুটির মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন সমবায়গুলি বিশেষ সুবিধা পাবে। এছাড়াও সারা ভারতের সম্ভাবনাময় অঞ্চল, সবলা সমবায়, পিছিয়ে পরা প্রজাতির মানুষেরাও এই বিশেষ আর্থিক নীতির সুবিধা প্রাপ্তির আওতায় থাকবে।
শ্রী রাধানাথ সিং বলেছেন “NCDC মানুষের জন্য একটি মঙ্গলময় প্রকল্প চালু করেছে যার মধ্যে আছে কিছু সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্য, যাতে করে যুবকরা এর লাভ ওঠাতে সক্ষম হয়। তাছাড়া উঠতি কৃষকদের জন্য এই প্রকল্প বিশেষ সুবিধাজনক হবে বলে আশা করা যায়। এর সাথে সরকারী ১০০০ কোটি টাকা জুড়ে গিয়ে তাদের পক্ষে নতুন ব্যবসায় লগ্নির জন্য বিশেষ সুবিধা হয়েছে।“
সিং আরও বলেছেন যে,”৮০% আর্থিক সহায়তা পিছিয়ে পরা মানুষের উন্নয়নের জন্য নিযুক্ত করা হবে যার মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ উপকৃত হতে পারে।“ তিনি বলেছেন, “যদি উঠতি ব্যবসার জন্য লোন নেওয়া হয় তাহলে সেই লন পরিশোধের সময় বাজারে প্রচলিত সুদের তুলনায় ২ শতাংশ হারে কম সুদ প্রদান করতে হবে। ঋণগ্রহীতারা এক্ষেত্রে ২ বৎসর সময় পাবেন তার ঋণের তাকা মেটানোর জন্য। ঋণগ্রহীতা ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত সর্বাধিক ঋণগ্রহণের সুবিধা পেতে পারে। সমস্ত সমবায় এই আর্থিক ব্যবস্থার সুবিধা পাবে এবং তাদের ঋণশোধের সময়কাল থাকবে এক বৎসর”।
- প্রদীপ পাল
Share your comments