২০ পয়সা প্রতি কেজির দুঃখে নিজের ক্ষেত সাফাই

বেগুণ উৎপাদন করার জন্য ২ লক্ষ টাকা ও প্রচুর কায়িক শ্রম খরচ করে মরশুমের শেষে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা পেয়েছেন

KJ Staff
KJ Staff

মহারাষ্ট্রের এক বেগুণচাষী তার উৎপাদিত বেগুণে কিলো প্রতি মাত্র ২০ পয়সা দাম পেয়ে তাঁর বেগুণ ক্ষেতে সমস্ত বেগুণ গাছ নষ্ট করে ফেলেছেন, যাতে তাঁকে আর বাড়তি লোকসানের সম্মুখীন না হতে হয়। আহমেদনগরের শাকুরি গ্রামের এক কৃষক রাজেন্দ্র বায়েক বলেছেন যে তিনি বেগুণ উৎপাদন করার জন্য ২ লক্ষ টাকা ও প্রচুর কায়িক শ্রম খরচ করে মরশুমের শেষে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি যথেষ্ট রাগাম্বিত হয়ে তাঁর ক্ষেতের সমস্ত বেগুণ গাছ উৎপাটিত করে ফেলে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার মিঃ বায়েক বলেন “আমি আমার দুই একর জমিতে রীতিমত প্রচুর টাকা খরচ করে পাইপ ও বিন্দুসেচের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমি আমার ক্ষেতের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দামী সার, কীটনাশক, এমনকি আধুনিক মালচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলাম। সব মিলিয়ে আমার মোট খরচ হয়েছিলো ২ লক্ষ টাকা, আর তাঁর বদলে আমি পেলাম মাত্র ৬৫,০০০ টাকা।“ এই কৃষকটি আরও বলেন যে এখনও সার ও কীটনাশক সরবরাহকারীরা তাঁর কাছে ৩৫,০০০ টাকা পায়। তিনি নিজেই জানেন না এই বিশাল অর্থ তিনি কোথা থেকে যোগাড় করবেন।

মিঃ বায়েক বলেন ফসল কাটারপ পর তিনি তাঁর সমস্ত উৎপাদন নিয়ে যখন নাসিক ও সুরাটের পাইকারী বাজারে যান, সেখানে তিনি মাত্র ২০ পয়সা প্রতি কেজি হিসেবে বেগুনের দর পান।তিনি বলেছেন বিগত তিন চার মাস তিনি ভালো লাভ পান নি, তাই লোকসানের পরিমাণ যাতে আর না বাড়ে সেই জন্য তিনি ক্ষেতের সমস্ত বেগুন গাছ উৎপাটিত করতে বাধ্য হয়েছেন। মিঃ বায়েক বলেন তাঁর কাছে তিনটি গরু রয়েছে, এখন এদের জন্য খাবার কেনার পয়সাও তাঁর কাছে অবশিষ্ট নেই। “আমি এই বেগুণ চাষের উপর অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম, এখন জানিনা আমার গরুগুলিকে কিকরে লালন পালন করবো।

খুব সম্প্রতি, নাসিকের একজন পেঁয়াজ উৎপাদক তাঁর ৭৫০ কেজি পেঁয়াজ বেচে মাত্র ১০৬৪ টাকা পেয়েছেন এবং এই বিক্রয়লব্ধ অর্থ প্রতিবাদী উপঢৌকন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছিলেন।

সমগ্র উত্তর ভারতের কৃষকরা গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একাট্টা হয়েছিলেন তাদের কিছু দাবীকে উপস্থাপন করবার জন্য, তাঁর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য দাবী ছিলো তাদের ঋণ মকুব এবং ফসলের ন্যায্য মূল্যপ্রাপ্তি।

- প্রদীপ পাল(pradip@krishijagran.com)

Published On: 05 December 2018, 11:50 AM English Summary: Brinzal cultivation destroyed

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters