পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ অংশে আঘাত হানার পরে স্থলভাগে চলে আসবে বুলবুল। এরপর আস্তে আস্তে উত্তরপূর্বের দিকে যেতে থাকবে এই ঝড়। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা-সহ ছটি জেলায় সরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার নটি জেলাতেও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সাইক্লোন এবং ফ্লাড রিলিফ সেন্টারগুলিতে নিচু এলাকার মানুষজনদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার সন্ধের পর বুলবুল স্থলভাগে আঘাত হানবে। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আছড়ে পড়ার মুহুর্তে ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিমি. থাকলেও সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১৩৫ কিমি। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জেরে যে বৃষ্টি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল, শনিবার ভোর থেকে তার পরিমাণ বেড়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তা আগামী সময়ে আরও বাড়বে।

বুলবুল’-এর আশঙ্কায় নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম ৷ কন্ট্রোলরুমের টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০।
তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, স্থলভাগে আঘাত করার পর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়বে বুলবুল। তা ক্রমশ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির দিকে এগিয়ে যাবে। তবে মৎস্যজীবীদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য। বিশেষ করে, ৯ ই ও ১০ ই নভেম্বর সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্বপ্নম সেন(swapnam@krishijagran.com)
Share your comments