ভারত সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষান প্রকল্পে বিদ্যমান যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ কৃষকদের ও তাদের অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে নেতৃত্ব দিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রীয় কমিটি গঠন করেছে। যদি কোন রাজ্যে এই প্রকল্পের আওতায় না আসা কৃষকের সংখ্যা বেশী হয় তাহলে সরকার রাজ্য সরকারের অনুরোধে পর্যালোচনা করতে পারে। এখনো অনেক রাজ্যে জমির মালিকানা নিয়ে অনেক সমস্যা আছে। এমন দেখা গেছে যে ঠাকুরদার নামে জমির মালিকানা আছে, কিন্তু তার মৃত্যুর পর তার নাতী জমি চাষ করছে। এই ধরণের সমস্যাগুলো এই কমিটি দেখতে পারে। রাজ্যের কাছ থেকে প্রস্তাব নেবার পরে প্রধানমন্ত্রীর কিষান প্রকল্পের নির্দেশিকায় সংশোধন করা যেতে পারে। প্রকল্পটি গতিশীল।
যেহেতু এই নির্দেশিকাগুলি বেশী পরামর্শ না করেই খসড়া করা হয়েছিল, তাই এইগুলি কৃষকদের সর্বোত্তম স্বার্থ অনুসারে সংশোধন করা যেতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের বিষয়গুলির সন্ধানে আরেকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি রয়েছে যেখানে জমির মালিকানার অধিকার সম্প্রদায় ভিত্তিক এবং কতজন কৃষকের কাছে জমি আছে তার পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এই সব রাজ্যে, কৃষকদের যোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া উন্নত করা হবে। গোরখপুরের একটি মেগা কৃষক সম্মেলনে ২৪সে ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার প্রথম কিস্তি জমা দিতে শুরু করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পটি চালু করবেন।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী
Share your comments