গ্রামাঞ্চলের পোস্ট অফিসগুলিতে কোর ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা চালু করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোর ব্যাঙ্কিং সুবিধা এতদিন শহরাঞ্চলের পোস্ট অফিসগুলিতে পাওয়া যেত। এই কোর ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় শুধুমাত্র পোস্ট অফিস থেকেই বিবিধ সুবিধা পাওয়া যায়। দ্রুত ও নির্ঝঞ্ঝাটে সুবিধা পেতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে অনেকেই। আবার দেশের দেড় লাখ পোস্ট অফিসের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের প্রায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার ডাকঘরে এই পরিষেবা পৌঁছয়নি। এই রাজ্যে এর মধ্যে আছে প্রায় ১০ হাজার পোস্ট অফিস। এবার এই পোস্ট অফিসগুলিও কোর ব্যাঙ্কিং-এর সুবিধা পেতে চলেছে। স্বল্প সঞ্চয় থেকে শুরু করে মানি অর্ডারে টাকা পাঠানোর মত সুবিধাগুলি গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকরা এখন পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই পাবেন। আমাদের যে সকল গ্রামে এখনও ব্যাঙ্ক গড়ে ওঠেনি, ব্যাঙ্কিং সুবিধা নেই সেখানে তার পরিপূরক হবে এই পোস্ট অফিসগুলি। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এখানেই পাওয়া যাবে বার্ধক্যভাতা, বিধবা ভাতা ও ১০০ দিনের কাজের টাকা।
দেশজুড়ে কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মধ্যে ছিল হেড পোস্ট অফিস ও অধিকাংশ সব পোস্ট অফিস, কিন্তু সর্বাধিক গ্রামাঞ্চলের ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসগুলি বাদ থেকে যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শাখাগুলিকে “রুরাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির” মাধ্যমে ‘স্মার্ট’ করছে ডাক বিভাগ।
কিভাবে কাজ করবে এই স্মার্ট প্রযুক্তি? একটি ডিভাইস বা ছোট যন্ত্র দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ব্রাঞ্চে, এর মধ্যমেই যেকোনো গ্রাহকের লেনদেন ডিজিটালি করতে পারবেন পোস্ট মাস্টার। এই মেশিনটির সাথে যোগাযোগ থাকবে ডাকবিভাগের মূল সার্ভারের। এই পরিষেবার পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এবার পশ্চিম মেদেনীপুরেও দ্রুত চালু হতে চলেছে এই পরিষেবা।
এখন এই পরিষেবা ব্যবহারে থাকছে মূল প্রতিবন্ধকতা – গ্রামাঞ্চলের মানুষদের প্রযুক্তি সম্বন্ধে অজ্ঞাণতা, কিন্তু ডিভাইসটি যেহেতু পোস্টমাস্টারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে তাই এটি ব্যবহারে কোনও সমস্যা থাকছে না।
প্রধানত তিনটি পরিষেবা এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে – এম আই এস, আরডি বা এন এস সি’র মতো স্বল্প সঞ্চয়ের পাশাপাশি যে কোনও লেনদেন, দ্বিতীয়ত, মানি অর্ডারের দ্রুত পেমেন্ট, তৃতীয়ত পোস্ট অফিসের নিজস্ব বিমা প্রকল্পের টাকা রাখা বা তোলা। ব্যাঙ্কবিহীন এলাকায় পরিষেবার খামতি পূরণ করবে ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস।
- তন্ময় কর্মকার
Share your comments