
‘খাদ্য থেকে জ্বালানী উৎপাদন’ তত্ত্বটি সারা পৃথিবীতে বরাবরই একটি মতবিরোধের পর্যালোচনায় রয়েছে। অনেকেরই বদ্ধমূল ধারণা দানাশস্য থেকে ইথানল উৎপাদনের পরিমাণ যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে খাদ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে, তাদের মতে যে বৎসর শস্য উৎপাদন বেশী হবে, সেই বৎসরই একমাত্র উদ্বৃত্ত ফসল থেকে এই ধরণের ভাবনা চিন্তা করা যেতে পারে।
“বায়োফুয়েলের বিষয়ে উন্নত চিন্তাভাবনার প্রয়োজন”-এই নীতি viability gap funding scheme-কে সূচীত করবে। 2-G Ethanol Bio-refinery গুলিকে তৈরি করতে হলে আগামী বৎসরে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকার বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন, এই নীতিতে চলতে গেলে একটি Chain Mechanism স্থাপনের প্রয়োজন আছে, যার সাহায্যে অব্যবহৃত তৈলবীজ ও স্বল্প ব্যবহৃত শস্য দিয়ে বায়োডিজেলের উৎপাদন এর সূচনা করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, 2017-18 আর্থিকবর্ষে প্রায় 150 কোটি লিটার ইথানল উৎপাদিত ও সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে প্রায় 4000 কোটি বৈদেশিক মুদ্রার বাঁচত হয়েছে এবং প্রায় ত্রিশ লক্ষ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উৎপাদন কমানো গেছে। ভারতে প্রতি শতাংশ পেট্রোল ও ডিজেলের সাথে 5% ইথানল ব্যবহার করা হচ্ছে যা বহুমূল্য তেলের আমদানী কিছুটা হলেও কমিয়েছে ও বৈদেশিক মুদ্রার বহির্গমন আটকেছে। বর্তমানে, পেট্রোলে 2% ও ডিজেলে ০.5% ইথানল মেশানো হচ্ছে, বর্তমানে রাজ্যের তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গুলি নিজস্ব উদ্যোগে 10,000 কোটি টাকা ব্যয় করে 12 টি 2G Bio refineries তৈরী করেছে। কৃষকদের উদ্বৃত্ত ফসলকে ন্যায্য দামে কিনেই এই প্রকল্প চালু করা হবে এবং এই বিপুল পরিমাণ ইথানলকে National Biofuel Coordination committee এর অনুমোদন এর মাধ্যমে পেট্রোল ও ডিজেলের সাথে মেশানো হবে।
- প্রদীপ পাল
Share your comments