ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যটি মৎস্য উৎপাদন ও উপভোগ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। এই রাজ্যের জলসম্পদ খুবই সমৃদ্ধ। অন্ধ্রে সামুদ্রিক ও অন্তরপ্রদেশীয় জলসম্পদ থাকার দরুণ এখানে মিঠা জল ও নোনা জল উভয়প্রকার মৎস্যই চাষ করা হয়ে থাকে এবং এর উপর ভিত্তি করে প্রায় ১.৬৩ লক্ষ মৎস্যজীবী তাদের জীবনধারণ করে চলেছে।
দ্য করমচাঁদ থাপার গ্রুপ, ICAR, ও সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব্ ব্রাকিশ ওয়াটার অ্যাকোয়াকালচার এর সাথে মিলিতভাবে কাজ করে চেন্নাইয়ে একটি মৎস্য শিক্ষা সমবায় সমিতি গঠন করেছে। তাছাড়া পশ্চিম গোদাবরী জেলার ভীমাভরম-এ তারা জীবন, জীবিকা, ও গবেষণা নিয়ে অপর আরেকটি সমবায় সমিতি গঠন করেছে। এই সংস্থাসমূহের মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে ‘এ স্টেট অব্ আর্ট অ্যাকোয়াকালচার ডায়গোনস্টিক ল্যাবরেটরি’ যেটির সূচনা করেন ICAR-CIBA-এর ডিরেক্টর ডঃ কে কে বিজয়ন।
সমবায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডঃ বিজয়ন বলেন CIBA-এর মতো গবেষণা কেন্দ্রের সাথে সমবায়ের সংযুক্তির ফলে চাষিদের উপকার হবে, চাষিরা প্রশিক্ষণের সাথে সাথে, মৎস্য প্রতিপালনের সুবিধাসমূহ, মাছের বিবিধ রোগভোগের প্রতিকারের বিশেষ সুবিধা পেতে পারে।
CIBA থেকে ভেনামী চিংড়ির অ্যাপ চালু করা হয়েছে। চিংড়ির বিভিন্ন রোগ-ভোগের প্রতিকার এই অ্যাপের মাধ্যমে চাষিদের জানানো হবে। তিনি আর বলেন CIBA এমন কিছু ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে যা জল ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করবে হেলথ্ কার্ড প্রদানের মাধ্যমে যা চাষিরা KCT ল্যাব থেকে পাবে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অব্ ফিসারিস শ্রী পি. কোটিশ্বরা রাও অন্ধ্রপ্রদেশে CIBA এর গুরুত্বকে বেশ প্রশংসা করেছেন, CIBA-এই সমবায় কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তির সীমারেখায় আবদ্ধ করতে পেরেছে এবং আদর্শ পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ভালো পরিষেবা ব্যবস্থা পরিচালনা করতে পারছে।
ওয়াটার বেস লিমিটেড এর CEO শ্রী রামাকান্ত আকুলা অত্যন্ত জোর গলায় বলেছেন যে CIBA-এর সাথে সমিতিগুলির নীতিগত অংশীদারি, জলজকৃষিকে ব্যবসায়িকভাবে সাফল্যের সিঁড়িতে উন্নীত করেছে। এর পরবর্তী গবেষণাগারটি গুজরাটে স্থাপিত হবে, তারপর পশ্চিমবঙ্গে। এই অনুষ্ঠানে ভীমাভরম-এর কিছু চাষি মাটি ও জলস্বাস্থ্য কার্ড পেয়েছেন।
- প্রদীপ পাল
Share your comments