
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টার জি কে দাস জানিয়েছেন, আম্ফানের জেরে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া ও হুগলিতে আগামী মঙ্গল-বুধবারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ২০ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বিকালে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি মূলত আছড়ে পড়বে সাগরদ্বীপে। সেসময় তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৮০-১৯০ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলও।
ওড়িশায় গজপতি, গঞ্জম, পুরি, জগৎসিংহপুর এবং কেন্দ্রপাড়া –এই জেলার কয়েকটি জায়গায় 'আম্ফান'-এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং ২০ থেকে ২১ শে মে ওড়িশার উত্তর উপকূলীয় বেশ কিছু জেলায় বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এই ঝড়ের গতিপথ প্রথমে উত্তরের দিকে থাকলেও পরে তা গতিপথ পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্বে। রবিবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান শক্তিশালী হয়ে তা তীব্র রূপ ধারণ করে। সন্ধের দিকে উড়িষ্যার বেশ কয়েকটি উপকূলীয় জেলায় এবং পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি অংশে উচ্চ বেগের বাতাসের সাথে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আম্ফানের প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ আজ ছিল ১৪০ কিমি প্রতি ঘন্টা। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা তীব্রতর রূপ ধারণ করতে চলেছে। তখন তার গতিবেগ থাকবে প্রায় ১৭০-১৯০ কিমি প্রতি ঘন্টা।
পূর্বাভাসের ফলস্বরূপ, আবহাওয়া দফতর থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের পরবর্তী ২৪ ঘন্টা দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে, আজ এবং কাল মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং ১৮-২০ শে মে উত্তর বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যে সকল মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে ছিলেন রবিবার রাতের মধ্যে তাদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (NDRF) ১০ টি দল ওড়িশায় এবং ৭ টি দল পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বপ্নম সেন
Share your comments