প্রস্তাবিত তথ্যানুসারে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক (DMS)-এর সামগ্রিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কোনো পেশাদারী ও লাভজনক সংস্থা বা কোনো আধা সরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চাইছে, অবশ্য এক্ষেত্রে সেই আধা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাকে দুগ্ধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে ৩০ বৎসরের সময় প্রদান করা হয়েছে। সেই সময়সীমা ফুরলেই পুনরায় অনুমোদন করা যেতে পারে। এই ব্যাপারে নিলামির কাগজপত্র বুধবার ইউনিয়ন মন্ত্রক থেকে প্রকাশ করেছে।
DMS-এ বিগত কয়েক বছর প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মত ক্ষতি হয়েছে, এবং বর্তমানে বাজারে এই ক্ষেত্রে মাত্র ৬% শেয়ার অবশিষ্ট রয়েছে, যদিও এর হাতে দিল্লীর একটি বৃহত্তর বাজার রয়েছে। দিল্লীর একেবারে কেন্দ্রস্থলে প্রায় ২৫ একর জমিতে DMS এর উৎপাদন প্ল্যান্টটি রয়েছে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ লিটার দুগ্ধ উৎপাদন হয়ে থাকে। এই সংস্থার বর্তমানে পাঁচটি দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্র ও শীতলীকরণ কেন্দ্র রয়েছে, এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ৫৬৬ টি মিল্কবুথ রয়েছে। তবে একটি বিষয় ধরে নেওয়া হচ্ছে যে এই নিলামির ফলে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সরকারি ক্ষতির বেশ কিছুটা ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে।
DMS সংস্থাটিতে প্রায় ৭০০ কর্মী কাজ করে, এই সংস্থার হস্তান্তরকরণ হলে এই সব কর্মীদের সরকারি কোনো লাভজনক ক্ষেত্রে নিযুক্ত করা হতে পারে অথবা ছাঁটাই করা যেতে পারে, যদি তারা অন্য কোনো ক্ষেত্রে কাজের উপযুক্ত না হয়।
একজন আধিকারিক এর কথা অনুসারে আমূলের গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন ও অন্য কোনো মিল্ক কো-অপারেটিভ বহু বছর আগে DMS অধিগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। সরকার ঠিক করেছে যে সংস্থার জমি, বাড়ি, ব্র্যান্ড, এগুলি বেচবে না, তবে যদি লিজ গ্রহীতারা এই সব তাদের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চায় সেক্ষেত্রে তারা তা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে প্রস্তাবিত ৩০ বছর ব্যবহার করতে পারে।
- প্রদীপ পাল
Share your comments