গুজরাটের ভারুচ-এ ধানুকা এগ্রিটেক্ একটি পরিবেশবান্ধব কীটনাশক প্ল্যান্ট এর স্থাপনা্র পরিকল্পনা করেছে। এই প্ল্যান্ট স্থাপনে তাদের প্রস্তাবিত খরচ ৯০ কোটি টাকা। এই ইউনিটটি প্রতি মাসে প্রায় ৩,৪১৫ টন কীটনাশক পদার্থ তৈরিতে সমর্থ হবে, এবং এই প্ল্যান্টে উচ্চমানের যান্ত্রিক পেস্টিসাইড উৎপাদন করা হবে, অন্তত দেহ্রাজ-৩ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট-এ ধানুকা এগ্রিটেক্ থেকে তাই জানানো হয়েছে।
একদল বিশেষজ্ঞদের সাথে একটি পূর্ণাংগ আলোচনার পর, পরিবেশমন্ত্রক ধানুকা প্ল্যান্ট গঠনের প্রস্তাবনাকে ছাড়পত্র দিয়েছেন। তবে এই ছাড়পত্রটি বেশ শর্তসাপেক্ষ। ধানুকার এক প্রবীণ আধিকারিক-এর বক্তব্য অনুসারে এই প্রকল্পটি রূপায়নের ব্যয় আনুমানিক ৯০ কোটি টাকা। অবশ্য এর মধ্যে পুনর্বাসন অ পুনস্থাপন ব্যয়কে বিবেচনা করা হয় নি।
গুরগাও এর এই কোম্পানিটির তিনটি উৎপাদন ইউনিট রয়েছে, একটি হরিয়ানায়, একটি গুজরাটে, এবং শেষেরটি কাশ্মীরে, এদের চারটি আমেরিকান, পাঁচটি জাপানি ও দুইটি ইউরোপীয় কোম্পানির সাথে ব্যবসায়িক যোগসূত্র রয়েছে। এই কোম্পানিটি বিভিন্ন প্রকার আগাছানাশক, ছত্রাকনাশক, কীটনাশক, ছারপোকানাশক ও উদ্ভিদের বৃদ্ধিনিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক পদার্থ প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করে থাকে। এইসব উৎপাদিত পদার্থসমূহ তরল, চূর্ণ, পাউডার, ও দানা হিসেবে বাজারে সহজলভ্য। ভারতের সমস্ত বড় বড় শহরে এই কোম্পানির বিপণন দপ্তরগুলি রয়েছে যাদের নেটওয়ার্কে প্রায় ৭০০০ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও ডিলার তৎসহ প্রায় ৭৫,০০০ খুচরো শাখাবিপণি রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত প্রায় ১০,০০,০০০ কৃষকের কাছে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে।
- Sushmita Kundu
Share your comments