দেশে মাশরুমের চাষ করা মানুষজনদের পক্ষে বিশেষ ভালো খবর রয়েছে। বোতাম মাশরুমের পর এখন আমাদের দেশে চীনদেশের প্রসিদ্ধ ঢিংরী মাশরুমের চাষ করে আপনি লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারেন। চীনদেশের প্রসিদ্ধ ঢিংরী মাশরুম এখন থেকে হরিয়ানাতেও চাষ করা শুরু হবে, এর জন্য অবশ্য হরিয়ানার উদ্যানবিভাগ উৎপাদকদের অনুদান প্রদান করবে। এখনো পর্যন্ত হরিয়ানার বিভিন্ন জেলায় বোতাম মাশরুম প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন চলছে, এখন এই নতুন আর্থিক বৎসর থেকে চীনের ঢিংরী মাশরুম উৎপাদনের জন্য নতুন বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢিংরী মাশরুমের প্রধান গুণ
ঢিংরী মাশরুম এর প্রধান খাসিয়ত বা গুণাবলী হল এই যে এই সব মাশরুম অন্যান্য মাশরুমের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি উৎপাদন করা সম্ভব।এর সবথেকে বড় গুণ হল এই ছাতুর বীজ যদি মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় তাহলে খুব সহজেই এই বীজ থেকে মাশরুম উৎপাদিত হতে থাকে। মাশরুমের পৌষ্টিক তত্ত্ব এতটাই বেশি থাকে যে এর চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তার একটাই কারণ সেটি হল এতে শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে এবং প্রোটিনের মাত্রা অনেক বেশী থাকে। এইকারণে এই খাদ্য হিসেবে স্থূলত্ব রোগী, মধুমেহ রোগী, ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিশেষ উপাদেও। অন্যজাতের মাশরুমের বেড়ে ওঠার জন্য যেখানে ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রী তাপমান প্রয়োজন সেখানে এই ঢিংরী মাশরুমের জন্য ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রী প্রয়োজন।
টিংগরী মাশরুমের চিত্তাকর্ষক রঙ্গিন ক্ষেতি
বোতাম মাশরুমের সাদা রঙের ক্ষেতি হয়। ঢিংরী মাশরুমের গোলাপী, হলুদ, ক্রিম রঙের ক্ষেত হয়। বিভিন্ন রঙের ভরপুর ক্ষেত দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও চিত্তাকর্ষক লাগে, কিন্তু হরিয়ানার মাশরুম উৎপাদকদের মধ্যে এর রঙের আকর্ষনীয়তার ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা নেই। এই ঢিংরী মাশরুম গরম বা শুষ্ক ঋতুতেও উৎপাদন করা সম্ভব।
আরও পড়ুন বাজারে এসে গেল নতুন প্রজাতির পালং শাক, লাভের মুখ দেখছে কৃষক
চীনে হয় টিংগরী মাশরুমের অধিকতর উৎপাদন
ঢিংরী মাশরুম সাধারণতঃ চীনদেশে উৎপাদন করা হয়। হরিয়ানাতেও এখোনো এই মাশরুম উৎপাদন শুরু না হলেও এর উৎপাদন প্রক্রিয়া বেশ উচ্চস্তরে রয়েছে। রাষ্ট্রীয় বাগবানি মিশন এর ডাইরেক্টর এই মাশরুম চাষের ব্যাপারে আরও বিশদ জানার জন্য চীন সফর করেছিলেন। এই ফসল-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য এই অর্থবর্ষে বিশেষ বাজেট তৈরী করা হয়েছে যাতে উৎপাদকদের প্রাথমিক অনুদান দেওয়া সম্ভব হয়। মনে করা হচ্ছে এই মাশরুম চাষ একবার শুরু হলে শুধু হরিয়ানাই নয় এর আশেপাশের রাজ্যসমূহের কৃষকরাও অনেক বেশী লাভবান হবে।
- প্রদীপ পাল ([email protected])
Share your comments