বায়ো অর্গানিক ফার্মিং এবং ইন্টিগ্রেটেড নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সুপরিচিত একজন কৃষিবিদ হলেন ডঃ পরিতোষ ভট্টাচার্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সয়েল মাইক্রোবায়োলজিতে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ভারত সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন পদে তিনি আসীন ছিলেন –
- সিনিয়র মাইক্রোবায়োলজিস্ট/NBDC RBDC – ১৯৯৫-২০০১
- পরিচালক, ন্যাশনাল বায়োফার্টিলাইজার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (NBDC) – ২০০২-২০০৪
- প্রথম পরিচালক, ন্যাশনাল সেক্টর অফ অরগ্যানিক ফার্মিং (NCOF) – ২০০৫-২০০৭
- অ্যাডিশনাল কমিশনার (INM) – ২০০৫-২০০৭
- ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর অফ অরগ্যানিক ফার্মিং (FAO Project) – ২০০৫-২০০৭
- অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অ্যামিটি ইনস্টিটিউটে বায়ো অরগ্যানিক রিসার্চ এবং স্টাডিস- বিভাগে অধ্যাপক এবং পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন – ২০০৭-২০১১
তিনি তাঁর কর্মজীবনে ৩ টি পেটেন্ট জমা দিয়েছেন। অরগ্যানিক ফার্মিং, বায়ো ফার্টিলাইজার এবং অরগ্যানিক ফার্টিলাইজার সম্পর্কিত ১২ টি বই প্রকাশ করেছেন। তাঁর লিখিত নিবন্ধের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে তিনি প্রায় শতাধিক নিবন্ধ লিখেছেন। এফএআই (FAI), ডিএসটি (DST), ডিবিটি (DBT), অ্যাপিডা (APEDA)-র মতো বিভিন্ন কমিটির সদস্য তিনি। তিনি অরগ্যানিক ফার্মিং নিউজলেটার, বায়োফের্টিলাইজার নিউজলেটারের (কৃষি মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত) প্রধান/সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ডিএসটি (DST) এভাল্যুয়েশন কমিটির সদস্য (পশ্চিমবঙ্গ কৃষি সরকার) ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিমপীঠ, বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি (VIB) –এর সাথে যুক্ত এবং সেখানকার GAP নিউজ লেটারের সম্পাদক।
তাঁর অন্য আর এক অসাধারণ দিক হল সাহিত্যচর্চা। তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন সুপরিচিত লেখক, ‘ঘাস ফুল মাটি’, ‘বর্ণময় রবীন্দ্রনাথ’ এবং ‘বিদ্যাসাগরের সাথে সেদিন রাতে যে কঠা হয়েছিল’ নামে তিনটি বই এবং ত্রিশটি নিবন্ধ তিনি প্রকাশ করেছেন। রামকৃষ্ণ মিশন সমাজ সেবা শিক্ষা মন্দির, বেলুড় মঠে অতিথি শিক্ষক হিসাবে তিনি সংযুক্ত। এছাড়াও একজন সমাজকর্মী হিসেবেও তিনি খ্যাত। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি নিয়োজিত রয়েছেন।
একজন ভাল বক্তা, নাটক, আবৃত্তি সর্বক্ষেত্রেই তাঁর অসামান্য গুণাবলীর পরিচয় আমরা পেয়েছি। বিগত দিনে তিনি অর্জন করেছেন ধীরু মোরারজি স্মৃতি পুরষ্কার (FAI) (২০০৫-২০০৬)। তিনি ভারতের টি বোর্ড -এর সাথে যৌথভাবে অরগ্যানিক টি প্রচারে সংযুক্ত রয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে, বহরমপুরের ডাল ও তৈল বীজ গবেষণা কেন্দ্রেও কাজ করেছেন (১৯৭৭-১৯৮৮)। তিনি এখন বায়ো অরগ্যানিক রিসার্চ অ্যাণ্ড সার্ভিসেস ইন এগ্রিকালচার বিভাগের নির্বাহী পরিচালক (বিওআরএসএ) এবং SCOPE Organic Informavie –এর উপদেষ্টা তথা পরিচালক।
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে সময় বিশেষে তিনি তাঁর অভিজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করে থাকেন :
- অরগ্যানিক ফার্মিং
- বায়োফার্টিলাইজার / বায়ো পেস্টিসাইড (জৈব কীটনাশক)
- অরগ্যানিক ফার্টিলাইজার
- ইন্টিগ্রেটেড নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট
- সয়েল হেলথ
- অরগ্যানিক সার্টিফিকেশন
- প্রজেক্ট প্রিপারেশন
- ট্রেনিং ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং
আগামীকাল কৃষি জাগরণের পেজে সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় তিনি অরগ্যানিক ফার্মিং (জৈব কৃষি) সম্পর্কে তাঁর মূল্যবান মতামত রাখবেন। তাঁর এই বক্তব্য থেকে অনেক কৃষকই উপকৃত হবেন। তবে শুধু কৃষকভাইরাই নয়, আমরা সকলেই এখান থেকে জৈব কৃষি সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে পারব।
স্বপ্নম সেন
Share your comments