“আমি যেন একটা জ্যাকপট পেলাম”- আনন্দে আত্মহারা হয়ে বললেন সাভেলরাম নানা কুটে, যিনি মাত্র একমাস সময়কালের ভেতর তাঁর নিজের গ্রাম পিম্প্রি পেন্ধারে আট একর জমিতে মাত্র ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ধনিয়া পাতা চাষ করে ১৩.৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন।
ধনিয়া পাতা একটি খাদ্য সৌন্দর্যায়নে ও স্বাদবর্ধনকারী হার্ব যা কিনা সারা দেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। বিগত শীত মরশুমে এই ফসল কৃষকদের প্রচুর লাভের মুখ দেখিয়েছে, যারা কিনা তাঁদের অন্যান্য ফসলের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ধনিয়া পাতা চাষ করেছেন। মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে কৃষি বিদ্যাপীঠের ভাইস-চ্যান্সেলর রাজারাম দেশমুখ প্রত্যক্ষ করেছেন যে এই শীত মরশুমে ধনিয়া পাতা কৃষকদের কাছে অত্যন্ত লাভজনক হয়েছে কারণ এর চাহিদা ও যোগানের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। শীতের আগে এই ফসল তেমন ভাবে চাষ করা সম্ভব হয় নি কারণ বৃষ্টিপাতের অভাব এই বছর কৃষকদের কাছে ধনিয়া চাষে সবথেকে বেশী সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো, ফলে চাহিদা বাড়লেও বাজারে এর যোগান ছিলো খুবই সীমিত।
পুনে ও নারায়ন গাঁও এগ্রিকালচার প্রোডাক্ট মার্কেট কমিটি এই কথা স্বীকার করে নিয়েছে যে বাজারে ধনিয়ার চাহিদা এতটাই বেশী ছিল যে এর দাম ক্রমাগত উর্দ্ধমুখী হয়েছে, আগে যে গোছা ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হতো, এই বৎসর সেই একই গোছা বিকিয়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়।
অতুর জেলার একজন কৃষক শতীশ দম্বলে এক সপ্তাহে ১ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন শুধু ধনিয়া পাতা বেচে। সে তাঁর ০.৪ একর জমিতে ধনিয়া পাতা চাষ করেছেন। তিনি বলেছেন,” আমি এর আগে অনেক ক্ষতি করেছি সবজি চাষ করে, যা কিনা আমি আগের বছর চাষ করেছিলাম, কিন্তু শেষমেষ ধনিয়া আমাকে বাঁচিয়ে দিলো। ধনিয়া বেচে আমি যা মূলধন অর্জন করেছি তা আগামী বৎসরে অনেক বেশী সবজি চাষে উদ্যোগী হতে সহায়তা করবে।“
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)
Share your comments