বোয়াল মাছ ক্যাটফিশ প্রজাতির। এই মাছ বড় নদী, হ্রদ, এবং জলা জায়গাতে পাওয়া যায়। এই মাছটি ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং আরো অনেক দেশে পাওয়া যায়। এই মাছের হিংস্রতার জন্য এই মাছকে মিষ্টিজলের হাঙর বলা হয়।
বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যতেষ্ট। বোয়াল মাছ খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু। তবে এটি যদি কোন নদীর বড় মাছ হয় তাহলে তো স্বাদের শেষ নেয়। বোয়াল মাছের পুষ্টিগুণ থাকায় এর চাহিদা ব্যপক রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হাঁসের রোগ ও তার প্রতিকার
বোয়াল মাছের উপকারিতা
গবেষণায় দেখা গেছে,মাছের শরীরে থাকা ‘ওমেগা থ্রি’ ফ্যাটি এসিড দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা সারাদিন কম্পিউটার বা কোনো ধরনের ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় মাছ থাকা একরকম আবশ্যক।
রক্তকে বিশুদ্ধ করতে বোয়াল মাছের ভূমিকা
বিভিন্ন ধরনের ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের রক্ত অনেক সময় দূষিত হয়ে যায়। যার কারণে আমাদের ব্লাড সার্কুলেশন ঠিক ভাবে হয় না। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের নিয়মিত খাবারের তালিকায় বোয়াল মাছ রাখার প্রয়োজন। কারণ বোয়াল মাছে থাকা উপাদানসমূহ আমাদের শরীরের রক্ত বিশুদ্ধ করতে কার্যকরীভাবে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুনঃ মাছ চাষীর নতুন পুকুরে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার্থে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পরামর্শ
বোয়াল মাছ খাওয়ার যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত বোয়াল মাছ খেলে এর অপকারিতাও আছে । অতিরিক্ত বোয়াল মাছ খেলে হৃদরোগের সম্ভবনা বেড়ে যায়।
বোয়াল মাছের বৈশিষ্ট
-
বোয়াল মাছের শরীর দীর্ঘ হয়, উভয় পাশ চাপা হয় এবং ক্রমশ লেজের দিকে সরু হয়।
-
পিছনের দিক সোজা হয়।
-
মুখ বড় আকারের এবং মুখের মধ্যে কিছু দাঁত থাকে।
-
মাথা নরম ত্বক দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে।
-
নিম্ন চোয়াল উপরের চোয়ালের তুলনায় দীর্ঘ।
-
দুই জোড়া গোফ আছে এবং এক জোড়া খুব দীর্ঘ হয়।
-
তাদেরকে এই গোফের জন্য ক্যাটফিশ বলা হয়।
-
পৃষ্ঠদেশীয় পাখনা ছোট এবং কোনো কাঁটা নেই।
-
বক্ষের দিকে পাখনায় কাঁটা থাকে।
-
পায়ূ খুব দীর্ঘ হয়।
-
লেজের পাখনা দুই ভাগে বিভক্ত থাকে ।
-
বোয়ালের শরীরের রঙ ফ্যাকাশে সাদা।
-
তাদের শরীরের কোন আঁশ নেই।
Share your comments