প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকদের মতে ডিম উৎপাদনের হাত ধরে কোচবিহারে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। ডিম উৎপাদনকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের দাবি, কোচবিহারে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ আছে। ডিমেরও ভালো বাজার রয়েছে। জমি হাতে পেলেই ডিম উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
পোল্ট্রির মাংস উৎপাদনের প্রসঙ্গে শিল্পোদ্যোগীদের দাবি, এখানে মাংস যা উৎপাদন হয় তা ক্রেতাদের পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু ডিমেরই ঘাটতি রয়েছে। সেকারণে ডিমের দাম যথেষ্ট চড়া। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে ডিম উৎপাদন ও তার বাজারজাত করা গেলে উত্তরবঙ্গে ডিম শিল্পে নতুন দিশা খুলে যাবে।
কোচবিহারে ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা। প্রতিদিন জেলাতে প্রায় দু’লক্ষ ডিমের চাহিদা আছে । মূলত ডিম উৎপাদনের হাব তৈরির ব্যাপারে তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনে দীর্ঘ আলোচনা করেন। । এখানে ডিম উৎপাদন শিল্পে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে পারে। একটি সংস্থা বলরামপুরে অপর সংস্থা ঘোকসাডাঙাতে জমি দেখেছে। দু’টি জমিই বর্তমানে সরকারের অধীনে রয়েছে।
জেলায় প্রায় ১০ লক্ষ ডিমের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্য স্থির করেই তাঁরা জেলায় নামতে চাইছেন। এক্ষেত্রে প্রায় ২৫-৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে পারে। প্রচুর বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও হবে। এমনকী বড় শিল্পোদ্যোগীদের পাশাপাশি ছোট শিল্পোদ্যোগীরাও যাতে এব্যাপারে এগিয়ে আসেন সেটাও দেখা হচ্ছে। জেলাশাসকও এব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
উদ্যোগপতিদের দাবি, কোচবিহার জেলা সীমান্তবর্তী জেলা ও উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলা হওয়ার জন্য কিছু সমস্যাও রয়েছে। এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আবার সুবিধাও আছে। কোচবিহার থেকে খুব সহজেই অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে যাওয়া সম্ভব। কোচবিহারে উৎপাদিত ডিম নানাভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতে পাঠানো সম্ভব।
- রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)
Share your comments