২০১৯ এল নিনোর প্রভাবে ভারতে হতে পারে ভয়াবহ খরা!

‘এল নিনো’র জন্য এর আগে ভারতকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল, ২০১৫-য়। প্রচণ্ড খরায় শুকিয়ে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু এলাকা

KJ Staff
KJ Staff
El Nino effect
এল নিনোর প্রভাব

তিন বছর পর আবার ভয়াবহ চেহারায় আসছে ‘এল নিনো’। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এস এ বা ‘এসা’)-র উপগ্রহ ‘কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-৩’-র পাঠানো তথ্য ও ছবি এবং ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আর দেড় মাসের মধ্যেই খুব শক্তিশালী এল নিনোর সম্ভাবনা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। 

প্রশান্ত মহাসাগরের চিলি ও পেরু উপকূল এবং মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলে তৈরি হওয়া সেই ‘এল নিনো’র জেরে এ বার ওলটপালট হয়ে যেতে পারে ভারতের বর্ষার মরসুম। উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যেতে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। হতে পারে ভয়াবহ খরা। যার অনিবার্য প্রভাব পড়বে দেশের কৃষিকাজে। যার জেরে দারুণ ভাবে মার খেতে পারে ভারতের ফসল উৎপাদন।

ওই ভয়ঙ্কর ‘এন নিনো’র জন্য চিলি, পেরু-সহ প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ও পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘটতে পারে প্রচণ্ড খরা। আবহবিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই টের পেয়েছেন, চিলি, পেরু-সহ প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলের জলস্তরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এ মাসের শেষে তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা।

এল নিনোর ঘটনা মূলত ঘটে চিলি, পেরু-সহ দক্ষিণ আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলিতে। মোটামুটি ভাবে ২ থেকে ৭ বছর অন্তর। সেই সময় মহাসাগরের জলস্তরের (সি সারফেস) তাপমাত্রা অন্তত ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়। ফলে, উপকূলবর্তী এলাকার বায়ুমণ্ডলও তেতে ওঠে। 

ওই সময় মহাসাগরের উপরের স্তরের (সি সারফেস) জল দ্রুত হারে অসম্ভব গরম হয়ে যায়। ওই সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্ত থেকে গরম জলের স্রোত ধেয়ে আসে মহাসাগরের পূর্ব দিকে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তের জলস্তর অনেকটাই গরম। তুলনায় ঠান্ডা চিলি, পেরু-সহ দক্ষিণ আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী জলস্তর।

এল নিনোর সময় পূর্ব উপকূলের সেই গরম জল তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় মহাসাগর সংলগ্ন স্থলভাগের বিভিন্ন দেশের বহু এলাকার। ওই সময় সুমুদ্রের তলদেশ থেকে ঠান্ডা জলও উপরে উঠে আসতে পারে না, মহাসাগরের পূর্ব প্রান্তের উপরে থাকা জলস্তরকে। ফলে, সেখানকার সমুদ্রের পিঠের জলস্তর ঠান্ডা হওয়ার সুযোগই পায় না।

এই ধরনের ভয়াবহ ‘এল নিনো’র জন্য এর আগে ভারতকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল, ২০১৫-য়। প্রচণ্ড খরায় শুকিয়ে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু এলাকা। সে বছর সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমে গিয়েছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে। ভারতের বর্ষার মরসুমে ততটা প্রভাব না ফেললেও, ১৯৯২ ও ২০০৯ সালের ‘এল নিনো’ ছিল যথেষ্ট ভয়াবহ। একই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭২, ১৯৮২, ১৯৮৩ সালে। তবে ১৯৯৭, ২০০২ ও ২০০৪ সালের ‘এল নিনো’র প্রভাব ভারতে সেরকম পড়েনি।

তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা

- রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)

Published On: 11 December 2018, 12:53 PM English Summary: El nino effect

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters