মহামারী রুখতে নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন দেশের চিকিত্সকগণ, সকল ধরণের স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ কর্মী এবং নেপথ্যে রয়েছেন আরও অনেকে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত ঘোষণা করেছিলেন যে, ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী, ৩ রা মে করোনাভাইরাসের যোদ্ধা অর্থাৎ সেই মানুষগুলির প্রতি সংহতি প্রদর্শন করবে পুষ্প বর্ষণ করে। কোভিড -১৯ –এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা চলা হাসপাতালগুলিতে আইএএফ এবং নেভির হেলিকপ্টাররা ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করবেন। রবিবার সশস্ত্র বাহিনী বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে কেরালার তিরুবনন্তপুরম এবং আসামের ডিব্রুগড় থেকে গুজরাটের কচ্ছ পর্যন্ত আইএএফ-এর ফাইটার ও ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্টের একটি ফ্লাইপাস্ট থাকবে।
শনি ও রবিবার তিরুবনন্তপুরমে জাহাজ আলোকিত করবে ভারতীয় কোস্টগার্ড। গুজরাটে, দক্ষিণ ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ড (এসডব্লিউএসি) আহমেদাবাদ ও গান্ধিনগরের দুটি হাসপাতালের উপর সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ফুলের পাপড়ি বর্ষণের পরিকল্পনা করা হয়।
কলকাতায় শনি ও রবিবার ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার এবং তারপরে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ইন্দিরা গান্ধী মেডিকেল কলেজ - এইদুটি স্থানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের কাছে মিষ্টি উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল।
কলকাতায় সকাল ১০-১১ টার মধ্যে আইডিসিবিজি হাসপাতালের উপর পুষ্প বর্ষণের পরিকল্পনা থাকলেও তা ব্যর্থ হয়। নবান্ন থেকে অনুমতি না মেলায় এই পরিকল্পনা বাতিল করতে বায়ুসেনারা বাধ্য হন। দিল্লী, চণ্ডীগড়, তিরুবন্নতপুরম, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ ও আরও অনেক জায়গায় বায়ুসেনারা যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে এই সম্মান প্রদর্শন করলেও, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের অনুমতি না মেলায় তা বাতিল হয়ে যায়। রাজ্যে কোথাও চলল না বায়ুসেনার অভিযান। কিন্তু কেন মিলল না এই অনুমতি, তা এখনও বিতর্কের বিষয়।
স্বপ্নম সেন
Share your comments