মাছ চাষে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে ২০১৮-১৯ -এ ১৮.৫ লক্ষ টন মাছ চাষ হবে। রাজ্য মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার মতে, পশ্চিমবঙ্গে চাহিদা আর জোগানের মধ্যে 0.৬ লক্ষ টন ফারাক আছে, আর এই ফারাক মেটানোর জন্য অন্য রাজ্য থেকে মাছ আমদানি করতে হচ্ছে। এই বছর উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই ফারাক কিছুটা হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে। তিনি আরো বলেন যে এই বৃদ্ধি জোগান আর চাহিদার মধ্যের ফারাক কে পুরোপুরি মেটাতে পারবে না, কারন চাহিদা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার প্রযুক্তির হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন সর্বাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি করছে, জলবিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে আরও বেশি জলাশয় তৈরি করা, এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে মাছ চাষ করা ও ব্যবস্থাপনার উন্নতি সাধন করা। ২০১৭-১৮ সালে রাজ্যে সরকার অন্যান্য রাজ্য ও বিদেশে ১.৭ লক্ষ টন মাছ রপ্তানি করে। এর মধ্যে প্রায় ৭০,০০০ টন চিংড়ি রপ্তানি করে, যার মূল্য ৮০০০ কোটি টাকা। রাজশ্রী ব্যানার্জি সভাপতি, সিফুড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার মতে, এখানে প্রায় চার লক্ষ হেক্টর নোনা জলের জলাশয় জমি আছে, যা অন্ধ্রপ্রদেশের প্রায় ১.৫ লক্ষ হেক্টরের তুলনায় অনেক বেশী। তবে, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রায় ১.৩ লক্ষ হেক্টর জলাশয় জমিতে প্রায় ৩.৫৫ লক্ষ টন চিংড়ি চাষ করতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু এই রাজ্যে ৬০,০০০ -৭০,০০০ হেক্টরে যা পুরো জলাশয়ের ১৫ শতাংশ তা ব্যবহার করে প্রায় ৬০,০০০ টন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে।
উচ্চ বিদ্যুৎ শুল্ক ও বেশী ইজারা রাজ্যের চিংড়ি উৎপাদনে বড় ধরনের কিছু সমস্যা।এই সব কারণের জন্য,চিংড়ির উৎপাদনের খরচ অনেক বেড়ে যায়।.আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দামে যে কোনও পতন বাংলার কৃষক ও রপ্তানিকারকদের মার্জিন সংকুচিত করে, যারা ইতিমধ্যেই উৎপাদনের উচ্চ মূল্যের চাপে পড়ে আছে।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী
Share your comments