কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ভালো অবস্থায় নেই রাজ্যের মৎস্য দফতর। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে বেতনটাও পাচ্ছেন না দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মীরা।কিন্তু সামনে পূজো, এই অবস্থায় বেতন না পাওয়ায় চরম সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মৎস্য উন্নয়ন নিগমের কর্মীরা।এর ফলে আটকে রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ।তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লবরায় চৌধুরী।
কর্মীদের বেতন না পাওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়ে মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লবরায় চৌধুরী কৃষিজাগরনকে বলেন,“আমি দেড় মাস হল এসেছি।এসে শুনলাম।এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করে ফেলব আমরা’’।
আরও পড়ুনঃ ঋনের টাকা আদায় করার এটাই কি নতুন পন্থা ?
তবে কত দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি মৎস্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“এখনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।সমস্যাটা তো আজকে হয়নি,অনেক দিন হয়েছে।সমস্যা সমাধানের পথ আমরা খুঁজছি এবং তার পথও সন্ধান হয়েছে।কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে।সেগুলো নিয়ে কথাবার্তা বলছি”।
সামনেই বাঙালীর শ্রেষ্ট উৎসব দূর্গা পূজা। পূজোর আগে কি মৎস্য উন্নয়ন নিগমের কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে?এ বিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লবরায় চৌধুরী বলেন,“পূজোর আগে অল্প কিছু করা যাবে,বেশি কিছু করা যাবে না।এটা একটা বড় সমস্যা ।যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি”।
আরও পড়ুনঃ এবার রাজ্যেও লাম্পি ভাইরাসের হাতছানি, আক্রান্ত ২
বিভিন্ন জেলায় নিগমের ১২টি জায়গায় মাছ চাষের খামার রয়েছে সেখানে কর্মরত প্রায় এক হাজারেরও বেশি কর্মী বিগত ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।এর পাশাপাশি একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যের মৎস্য দফতর।অভিযোগ, তিন বছর ধরে অনলাইনে মাছ বিক্রি বন্ধ আছে।কিন্তু এখনও মৎস দফতরের ওয়েবসাইটে কাচা মাছ বিক্রি, চালু আছে বলে উল্লেখ করা আছে ।দীর্ঘ দিন ওয়েবসাইটটির কোনও সংস্কার না হওয়ার ফলেই এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এখনও প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি-সহ প্রাক্তন এমডি-র নাম ও ছবি রয়ে গিয়েছে সেখানে। তবে দ্রুত এই মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লবরায় চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, একসময় এই দফতরের ব্যাঙ্কে কয়েকশো কোটি টাকা স্থায়ী আমানত ছিল। তারপরেও কেন কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
Share your comments