বাঁকুড়া জেলায় বিনামূল্যে মৎস্য দপ্তর থেকে ১লক্ষ ২০হাজার এবং অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর থেকে প্রায় ১লক্ষ ৮০হাজার চারা বিলি করা হবে। মোট ৩ লক্ষ দেশি মাগুর মাছের চারা বিলি করা হবে জেলার ২২টি ব্লক ও তিনটি পুরসভা এলাকায়। এছাড়াও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগ থেকে মঞ্জুর হওয়া পৃথক একটি প্রকল্পে ১৪৯ ইউনিট চারা কেবলমাত্র তালডাংরা ব্লক এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মৎস্য চাষিদের বিলি করা হবে। প্রতি ইউনিটে ১২০০টি চারা থাকে। ইউনিট পিছু ২০০কেজি মাছের খাবারও বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
বিনামূল্যে চারা ও খাবার বিলির পাশাপাশি উপভোক্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। প্রতি ব্লকের জন্য বরাদ্দ চারার পরিমাণ সংশ্লিষ্ট বিডিওকে জানানো হবে। সেই মতো চাষি বাছাই করে পাঠালে তাঁদের বিলি করা হবে। এছাড়াও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত বাসিন্দাদের জন্য পৃথক একটি প্রকল্প তালডাংরার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তা মঞ্জুর হয়েছে। তালডাংরা ব্লকে ৩০% আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত বাসিন্দা রয়েছেন। পাঁচমুড়া, ফুলমতি, তালডাংরা, খালগ্রাম, বিবড়দা ও হাড়মাসড়া এই ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পুকুর রয়েছে এমন উৎসাহী ৯০জন মালিককে দেশি মাগুর চাষের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বয়ম্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তার জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল যা মঞ্জুর হয়েছে। চারার পাশাপাশি খাবার, হাঁড়ি ও জাল বিনামূল্যে দেওয়া হবে। আগামী দিনে যাতে তাঁরা নিজেরাই চারা তৈরি করতে পারেন সেই জন্য চিহ্নিত ৩০টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে হ্যাচারি তৈরি করে দেওয়া হবে। চারা ও খাবার সরবরাহের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই তা বিলি করা হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় অধিকাংশ পুকুরে সারাবছর পর্যাপ্ত জল থাকে না। তাই দীর্ঘমেয়াদি মাছ চাষের ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে। সেই দিক থেকে দেশি মাগুর মাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়। তাছাড়া চাহিদাও প্রচুর। সেই জন্য এবার দেশি মাগুর মাছের চারা বিলির উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলায় দপ্তরের তালিকাভুক্ত কিছু হ্যাচারি রয়েছে। তার মধ্যে ওন্দার রামসাগরে বেশি রয়েছে। রামসাগরের মাছের চারার সুনাম থাকায় সেখান থেকে এরাজ্য ছাড়াও ভিনরাজ্যে মাছের চারা রপ্তানি হয়। কয়েকবছর আগে সেখানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটি ফিশ ফার্ম গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাছের চারা তৈরির বহু হ্যাচারি তৈরি হয়েছে।
- রুনা নাথ
Share your comments