কৃষিকাজ ও চাষীরা ভারতের অর্থনীতির প্রধান দুটি স্তম্ভ বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলি ও তার ভারতের গ্রামগুলিতে নেটওয়ার্ক গ্রামীণ অর্থনীতি ও দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। “প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির গুরুত্বের কথা বলেছেন। গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলি দেশের প্রান্তিক মানুষগুলিকে সহায়তা দেয় ও তাদের সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্তরের মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপণ করে। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ” – বলেন শ্রী সিংহ। “ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক অফ আর্যভট্ট শ্রী গ্রুপ পারসোনাল অ্যাক্সিডেন্টাল ইন্সোরেন্স স্কিম ফর বরোয়ার্স – ২০১৮” প্রকল্পটি উদ্বোধন করার পর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কথাগুলি বলেন তিনি।
“স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের বছরে প্রধানমন্ত্রীর কৃষকের আয় দ্বিগুণ করা মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যপূরণে আমাদের কৃষিকাজে ইনপুট কস্ট কমাতে হবে” এমনটাই জানান তিনি সাথে আরও বলেন “NDA গভর্নমেন্ট যে পদক্ষেপগুলি এখনও পর্যন্ত নিয়েছে তাতে ইউরিয়া ও অন্যান্য সারের দামের অনেকাংশে হ্রাস হয়েছে। আগে চাষীকে বাধ্য হয়ে কালোবাজারি ইউরিয়া ক্রয় করতে হত।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন – সরকার অনবরত কাজ করছে যাতে চাষীদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায় এবং কম দামে সমস্তরকম সুবিধা দেওয়া যায়। ‘জন ধন যোজনা’ প্রকল্পটিকে তিনি এই সরকারের সফলতার একটি উদাহরন বলে মনে করেন। সাধারন নাগরিকের কাছে ব্যাঙ্কিং সুবিধা পৌছে দেওয়া এই সরকারের আরও একটি সাফল্য। পূর্ববর্তী BJP সভাপতি বলেন NDA সরকার সামাজিক সুরক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে এবং “অটল পেনশন যোজনা”, ‘ফসল সুরক্ষার’ মত প্রকল্প চালু করেছে সর্বসাধারণের উন্নতির দিকে তাকিয়ে।
তিনি আরও বলেন – যদি আমাদের পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হতে হয় তবে আমাদের দেশের প্রান্তিক মানুষগুলির কাছে পৌঁছাতে হবেই। আমরা এই মুহুর্তে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতি ও সারা বিশ্বের কাছে দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি বলে পরিচিত, বলেন তিনি। ২০৩০ সাল পর্যন্ত ভারত যদি অর্থনীতি বৃদ্ধির এই হার ধরে রাখতে পারে তবে ভারত সারা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হবে। লক্ষ্ণৌতে থাকাকালীন তিনি স্থানীয় BJP নেতা, ব্যবসায়ী, দলের বরিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
- তন্ময় কর্মকার
Share your comments